Thank you for trying Sticky AMP!!

চলতি বছরের মধ্যে নির্বাচন চাইলেন ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন

সরকারকে এক বছরের মধ্যে নতুন করে নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। চলতি বছরের মধ্যে এই নির্বাচনের কর্মসূচি ঘোষণার দাবি করেন তিনি।

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরাম এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেখানে ড. কামাল এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দ্রুত অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেন। নির্বাচন করে যারা প্রকৃত অর্থে নির্বাচিত, তাঁদের হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেন। আমরা সংঘাত-সংঘর্ষ চাই না।’ নির্বাচনের কর্মসূচি ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন মাস ছয় মাস যা-ই হয়েছে, এই বছরের মধ্যে একটা প্রকৃত অর্থে নির্বাচন করেন। রাতে নির্বাচন করে পরের দিন সবাইকে অভিনন্দন—এ ধরনের নির্বাচন না।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘এ ধরনের অন্যায়ের জবাব মানুষ দেবে। ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সেটাকে যেনতেনভাবে প্রয়োগ করে দাবি করে তাঁরা জনগণের পক্ষে হয়ে করছেন। মিথ্যাকে সত্য বললেই তা সত্য হয়ে যায় না। মিথ্যা মিথ্যাই থাকে। ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি।’

মানুষ মুখ খুললে বা প্রশ্ন করলে গুম-হত্যার ভয় পাচ্ছে জানিয়ে ড. কামাল বলেন, এ ধরনের অবস্থা তৈরি করে ১৬ কোটি মানুষের দেশকে শাসন করা যায় না।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। কিন্তু তারাই আবার ভোট চুরিতে অংশ নিয়েছে। এটা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ করিয়ে দেশে ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য এটা করেছেন। শেখ হাসিনার নির্দেশ ছাড়া কোনো কিছুই হয় না, উল্লেখ করে সুব্রত বলেন, বঙ্গবন্ধু এ ধরনের গণতন্ত্র দিয়ে যাননি।

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও গণফোরামের নেতা আবু সাইয়িদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথা বললে তাঁর আদর্শ মানতে হবে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে যারা দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা ও গুন্ডামি করে, তাদের মুখে এ স্লোগান মানায় না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার, রেজা কিবরিয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন প্রমুখ।