Thank you for trying Sticky AMP!!

ছাত্রলীগ নেতাকে বিদায় জানাতে উড়োজাহাজের দরজায়

ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক (উড়োজাহাজের ফটকে) ঢাকায় ফেরার সময় সিলেট জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশ করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘ভিআইপি লাউঞ্জে’ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে কয়েক শ তরুণের ভিড়। শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। খোঁজ নিয়ে জানা গেল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী সিলেট থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। তাই তাঁকে বিদায় জানাতে নেতা–কর্মীদের উপচে পড়া ভিড়। একপর্যায়ে এই নেতা–কর্মীদের অনেকেই চলে যান টার্মাকে। সেখানে উড়োজাহাজটির দরজায় গিয়েও তাঁরা নেতাকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দর–সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি কোনো জনপ্রতিনিধি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ব্যক্তি (সিআইপি) নন। তাই তিনি ভিআইপি লাউঞ্জের সুবিধা পেতে পারেন না। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারে অনুমোদিত ব্যক্তির সঙ্গে দুজনের বেশি দর্শনার্থী ঢুকতে না বলা হয়। আর বিমানবন্দরের টার্মাকে সংরক্ষিত এলাকায় ক্রু, যাত্রী ও অনুমোদিত ব্যক্তিরা ছাড়া অন্যদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এমনিতেই বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তামান নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। রানওয়েতে    এ ধরনের বিশৃঙ্খলা নিরাপত্তাঝুঁকির পাশাপাশি নিরাপত্তামানকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, সভাপতি রেজওয়ানুল হক গত মঙ্গলবার সিলেটে সাংগঠনিক সফরে আসেন। মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মিসভা করে তিনি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার ফ্লাইটে ঢাকায় ফেরেন।

ছাত্রলীগের সভাপতির বিদায়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা ভিড় হয়েছিল বলে স্বীকার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ বলেন, তাতে ভিআইপি লাউঞ্জের কোনো ক্ষতি হয়নি। কেউ টার্মাকে যাননি বলেও তিনি দাবি করেন।

ফজলে হাসান সৌমিক নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী উড়োজাহাজের একেবারে সিঁড়ির গোড়ায় ফুলের তোড়াসহ দাঁড়িয়ে পাঁচটি ছবি দিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মানিত সভাপতি শোভন ভাই চার দিনের সিলেট সফর শেষে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রার প্রাক্কালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভাইকে বিদায় জানাতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের আগামী দিনের কান্ডারি, মুকুটহীন ছাত্রনেতা নাজমুল ইসলাম ভাইয়ের সাথে।’

বিমানবন্দরের দুজন নিরাপত্তাকর্মী জানান, ছাত্রলীগের সভাপতির বিদায়ে এমন ভিড়ে হতবাক হন অনেকেই। ন্যূনতম শৃঙ্খলাও মানছিলেন না নেতা–কর্মীরা। সেলফি তুলতে কেউ আবার নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়িয়ে টার্মাকে উড়োজাহাজের সিঁড়ির গোড়ায় চলে যান।