Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন বছর আগের সনদ দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে হাসির পাত্র বানিয়েছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

সচিবালয়ে আজ বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

কানাডার একটি সংগঠন থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেওয়ার বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাড়ে তিন বছর পর বিষয়টি সামনে এনে বিএনপি খালেদা জিয়াকে হাসির পাত্র বানিয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন থেকে খালেদা জিয়াকে সম্মাননা দেওয়ার বিষয়টি গতকাল মঙ্গলবার সামনে আনে বিএনপি। সম্মাননার ক্রেস্টে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তারিখ উল্লেখ করা আছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে দেখলাম বেগম খালেদা জিয়াকে কানাডার একটি সংস্থা, যাদের নাম তেমন কেউ জানে না, জন্মও খুব আগে নয়, তারা তাঁকে “মাদার অব ডেমোক্রেসি” বলে আখ্যা দিয়েছে, যেটি মির্জা ফখরুল সাহেব ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন। এই সার্টিফিকেট আবার সাড়ে তিন বছর আগে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে দেওয়া।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর পরে হঠাৎ বিএনপি নেতারা গণমাধ্যমের সামনে এসে কথাগুলো বললেন। তাতে পুরো বিষয় এবং বেগম জিয়াকে একটি লাফিং স্টক (হাসির পাত্র) বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেই কানাডার তথাকথিত এক সংস্থা থেকে বিএনপি একটি সার্টিফিকেট কিনেছে। সেটা আবার সাড়ে তিন বছর আগের। কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা দিয়ে, আবার কিছু ফার্মের সঙ্গে বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছে।

চুক্তিপত্রের একটি কপি সাংবাদিকদের দেখিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, যে অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের পক্ষ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে সনদ দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, তারা বিএনপির পক্ষ হয়ে দেশবিরোধী অপপ্রচার চালানোর জন্য লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। তাদের কাছ থেকে বিএনপি একটা সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিল। আর এখন সেটি গণমাধ্যমের সামনে দেখাল—পুরো বিষয়টাই হাস্যকর।

এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সচিবালয়ে হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রের মুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে আমাদের শিল্পী–কলাকুশলীরা স্কলারশিপ নিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে, বাংলাদেশি বেসরকারি চ্যানেলগুলো পশ্চিম বাংলায় প্রদর্শনের বিষয়টি কীভাবে সহজ করা যায় এবং আমাদের টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্রপত্রিকার কলকাতা প্রতিনিধিরা কীভাবে সেখানে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পেতে পারে, সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।’

এ সময় মন্ত্রী বলেন, দুই দেশের অর্থায়নে মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের জন্য তানভির মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে আমাদের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে খুব শিগগির যুগ্ম পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার।