নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মেরাজের পরিবারের পাশে সাংসদ
রাজশাহীর মোহনপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত মেরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সন্তানদের জন্য ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর) করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ আয়েন উদ্দিন। তিনি সেই কথা রাখলেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে সোনালী ব্যাংকের মোহনপুর শাখায় নিহত মেরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম, ছেলে সেফাত ইসলাম ও ভাই হুমায়ুনের নামে পাঁচ লাখ টাকার একটি এফডিআর করে দেন।
রাজশাহীর মোহনপুরে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় নিহত হন মেরাজুল ইসলাম। নির্বাচনের পরের দিন গতকাল সোমবার সাংসদ আয়েন উদ্দিন নিহত মেরাজুল ইসলামের বাড়িতে যান। প্রিয় নেতাকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানেরা।
আয়েন উদ্দিন তখনই মেরাজুল ইসলামের স্ত্রী শেফালীর হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। সেই সঙ্গে মোহনপুর সোনালী ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার এফডিআর করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া পরিবারটি যাতে চলতে পারে সে জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় আয়েন উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের প্রতিহিংসার রাজনীতির বলি হয়েছে মেরাজুল ইসলাম। আমি আমার এলাকার প্রত্যেক মানুষকে ভালোবাসি। দলমত-নির্বিশেষে সবার সেবা করতে চাই। দোয়া করি আল্লাহ মেরাজুলকে বেহেস্তবাসী করুন।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিহত মেরাজুলের ছেলেকে শিক্ষিত করতে হবে। ছেলে সেফাতের শিক্ষা ও স্ত্রী শেফালীর সংসার খরচের জন্য আমি সব সময় তাদের পাশে আছি’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহানাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হযরত আলী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, মৌগাছি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ইকবাল হোসেন, মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেন, মেরাজুলের স্ত্রী শেফালী বেগম, ছেলে সিফাত ইসলাম ও ভাই হুমায়ুন প্রমুখ।
মেরাজের ভাই হুমায়ুন নগদ ২০ হাজার টাকা পাওয়া এবং পাঁচ লাখ টাকার এফডিআর খোলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন
-
কী ঘটেছিল, মনে করতে পারছে না শিশুটি
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান
-
বাসা থেকে বেরিয়েই সালাহউদ্দিন বুঝলেন, এই গরমে ফুটবল খেলা সম্ভব নয়
-
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত বাসের নিচে মোটরসাইকেল, এরপর দাউ দাউ আগুন
-
প্রযোজকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ বাঙালি অভিনেত্রীর