মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘যথার্থ’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রী বলেছেন ৩০ লাখ নিয়ে মতভেদ আছে। সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে গা জ্বালার তো কোনো কারণ নেই। ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যা বলেছেন যথার্থ বলেছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটি আয়োজিত এক যুব সমাবেশে গয়েশ্বর রায় এ সব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের ইচ্ছা ছিল শহীদের সঠিক তালিকা করে তাঁদের পরিবারকে ভাতা দেওয়া। এ জন্য তিনি একটি কমিশন গঠন করেছিলেন। তাঁর দুই সদস্য এখনো জীবিত আছেন। ওই সময়ে তিনি দুই হাজার টাকা করে ভাতাও দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনি তো পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে চান। তাহলে তাঁর এ স্বপ্নটি পূরণ করুন। যদি না করেন তা হবে দুর্ভাগ্যজনক। আমি আজকে বলে যাচ্ছি, আপনি না করলেও জনগণ দায়িত্ব দিলে আমরা গুনে গুনে শহীদের তালিকা প্রকাশ করব। প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করে শহীদ পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে যথাযথ মর্যাদা, শিক্ষা এবং জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এটা কথার কথা নয়, প্রতিশ্রুতি।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার এবং মির্জা আব্বাসের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজ আমরা সবাই বন্দী। মির্জা আব্বাস ছোট কারাগারে। আর দেশের ১৬ কোটি মানুষ বৃহৎ কারাগারে আবদ্ধ। তাই এক আব্বাস মুক্তি পেলেও ১৬ কোটি মানুষ মুক্ত না হলে আমরা কেউই মুক্তি পাব না।’ তিনি দেশকে মুক্ত করতে নেতা-কর্মীদের রাস্তায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
যুবদলের সহসভাপতি মাসুদ আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।