
অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিগত কোনো অবস্থান না দেখার কথা জানালেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, তার কোনো প্রিন্সিপাল পজিশন নেই। বিএনপির চাপে উনি কতক্ষণ ডানে ছোটেন, জামায়াতের চাপে তিনি কিছুক্ষণ বাঁয়ে ছোটেন। এনসিপির চাপে উনি মাঝে মাঝে ওপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করেন।’
আজ রোববার রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে ‘স্বল্প আস্থার সমাজে সংস্কার ও নির্বাচনী ঐক্যের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মজিবুর রহমান। এই সভা যৌথভাবে আয়োজন করে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)। সভায় দল তিনটি ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথচলার অঙ্গীকার করে।
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মতভিন্নতার পরিপ্রেক্ষিতে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, রাষ্ট্র এখন সংকটে। সবকিছু গুছিয়ে আনার পরে এখন সংকট ঘনীভূত হয়েছে তিনটা জায়গায়। গণভোট আগে না, একসঙ্গে; নোট অব ডিসেন্টার কী হবে আর আগামী দিনের নির্বাচনটা কিসের নির্বাচন।
এই সংকটের জন্যও সরকারের চাপে পড়ে চলার নীতিকে দায়ী করেন মজিবুর রহমান। ‘কয়েকটা দলের মন জুগিয়ে চলার রাজনীতির চিন্তা-নীতিটা বাদ দেন। যদি এটা বাদ না দেন, তাহলে আপনারা যে একটা সুযোগ পেয়েছেন, সেই সুযোগ হাতছাড়া করার দায়ে আপনারা চিরস্থায়ীভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দায়ী থাকবেন,’ সরকারের উদ্দেশে বলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান।
আলোচনা সভায় উপস্থিত তরুণদের উদ্দেশে মজিবুর রহমান বলেন, ‘ওরাও রাস্তা বন্ধ করতে চায়। কারণ, কথা তো সত্য, রাস্তা বন্ধ না করলে দাবি আদায় হচ্ছে না। উপদেষ্টারা এদের সঙ্গে বসে কথা বলার সময় পায় না। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তাদের সঙ্গে কথা বলে। কদিন পর উপদেষ্টাদের রাস্তায় রাস্তায় হাঁটতে হবে।’
সভায় আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের আশা ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্রের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণের কথা ভাবছে না।
‘বিপ্লব এখন বিলাসে পরিণত হয়েছে’ মন্তব্য করে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুইয়া বলেন, ‘ছেঁড়া স্যান্ডেল থেকে ফাইভ স্টার হোটেল কোনো বিপ্লবীর চরিত্র হতে পারে না।’
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুমের সভাপতিত্বে সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল ওহাব মিনার, আপ বাংলাদেশের সদস্যসচিব আরেফিন মো. হিজবুল্লাহ বক্তব্য দেন।