Thank you for trying Sticky AMP!!

শাজাহান খান

শাহাজান খানের আয় বেড়ে এখন ৩২ গুণ

মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খান ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ ১৫ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শাহাজান খানের আয়ও বেড়েছে।

২০০৮ ও ২০২৩ সালে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে শাজাহান খানের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ২০০৮ সালে শাজাহান খানের বার্ষিক আয় ছিল ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এবার তিনি আয় দেখিয়েছেন ২ কোটি ২১ লাখ টাকা। অর্থাৎ তাঁর আয় বেড়ে প্রায় ৩২ গুণ হয়েছে।

২০০৮ সালে শাজাহান খানের অস্থাবর সম্পদ ছিল প্রায় ৫৭ লাখ টাকার। এখন তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় (আসবাব, ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও বন্দুকের দাম বাদে)। অর্থাৎ তাঁর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে পাঁচ গুণ।

মাদারীপুর-২ আসন থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন শাজাহান খান। একই আসন থেকে তিনি পরের প্রতি নির্বাচনেই প্রার্থী হন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য একই আসনে প্রার্থী হয়েছেন।

শাজাহান খান নৌমন্ত্রী ছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়ী হলেও তাঁকে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়নি। তিনি পেশা হিসেবে রাজনীতি, সাধারণ ব্যবসা ও অন্যান্য উল্লেখ করেছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেন স্নাতক (পাস)।

স্বাধীনতার আগে ও ১৯৭৫ সালে এবং ২০০৬ সালে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ২০০৬ সালের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। বাকি দুই মামলার একটিতে পাঁচ বছর, অন্যটিতে ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন শাজাহান খান।

হলফনামা অনুযায়ী, শাজাহান খানের দুটি গাড়ি রয়েছে, যার দাম ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। তাঁর একটি বন্দুক ও একটি পিস্তল রয়েছে। এবার তাঁর স্ত্রীর নামে ৮০ ভরি সোনা ছাড়া আর কোনো অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়নি। ২০০৮ সালে দুটি বাস, একটি গাড়ি ও একটি মাইক্রোবাস, ১৫ ভরি সোনাসহ প্রায় ৪১ লাখ টাকার সম্পদ দেখানো হয়েছিল। দুজনের নামে গৃহস্থালি সরঞ্জাম ও আসবাব দেখানো হয়েছে।

শাজাহান খান ও তাঁর স্ত্রীর বেশ কিছু কৃষি ও অকৃষিজমি রয়েছে। তাঁর প্রায় ৬ কোটি টাকার ভবন ও সমজাতীয় স্থাপনা রয়েছে। দানসূত্রেও ফ্ল্যাট ও জমির মালিক হয়েছেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ও অন্যান্য স্থাবর সম্পদ।

(সংশোধিত)