দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে (বাঁ থেকে) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা; ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্য ডেইলি স্টার আয়োজিত নির্বাচনী সংলাপে (বাঁ থেকে) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা; ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ডেইলি স্টারের নির্বাচনী সংলাপ

মানুষ ভাবছে, আদৌ নির্বাচন হবে কি না: মির্জা ফখরুল

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা হারাতে বসার উপক্রম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মানুষ ভাবছে, আদৌ নির্বাচন হবে কি না।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক নির্বাচনী সংলাপে বিএনপির মহাসচিব এ কথা বলেন। ‘ইলেকশনস ডায়ালগ: ইওর পার্টি ভোটার কোয়েশ্চেনস’ শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে দ্য ডেইলি স্টার।

এই সংলাপে প্যানেল আলোচক ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সঞ্চালনা করেন ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ।

সংলাপে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি অংশ নিতে পারেননি। তাঁর লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ডেইলি স্টারের যুগ্ম সম্পাদক আশা মেহরীন আমিন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ওপর সাম্প্রতিক আক্রমণ কেবল এই দুটি সংবাদপত্রের বিরুদ্ধেই নয়, বরং দেশ, গণতন্ত্র এবং বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনকে বিপন্ন করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নির্বাচন। তবে এটি ব্যাহত করতে পারলে সেটি বাংলাদেশের শত্রুদের জন্য সবচেয়ে বড় সাফল্য হবে। সে জন্য রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী এবং গণমাধ্যমকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একসঙ্গে কাজ করা উচিত।

সংলাপে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নির্বাচনের একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই সুযোগ হারাতে বসার উপক্রম হয়েছে। গত কয়েক মাসে বিশেষ করে কয়েক দিনে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তাতে মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। মানুষ ভাবছে, আদৌ নির্বাচন হবে কি না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা যখনই আপনার একটা সুযোগ পাই, দেখা যায় যে কিছু কিছু মহল কিছু কিছু ঘটনা ঘটিয়ে সেই সুযোগগুলোকে বিনষ্ট করে দেয়। সেই সম্ভাবনাটাকে দূর করে আমরা সত্যিকার অর্থেই একটা আশার সঙ্গে নির্বাচনের দিকে যেতে চাই।’

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘পেপার তৈরি’ করেছে। বিএনপি মনে করে, এসব পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে পারলে সংকট কাটিয়ে উঠে অর্থনীতিকে একটা স্থিতিশীল জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।

‘প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে তাণ্ডব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

সংলাপে সিপিবির সাবেক সভাপতি ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ও উদীচীর মতো প্রতিষ্ঠানে যে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর উদ্দেশ্য হলো নির্বাচন বিলম্বিত করা বা নির্বাচন যাতে না হতে পারে, এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা।

এ সময় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আগামী নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে। তবে তফসিল ঘোষণার আগেই শত শত কোটি টাকা খরচ করা হয়ে গেছে। নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সংলাপে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াত শিক্ষার সর্বস্তরে অবৈতনিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বর্তমান শিক্ষায় জিডিপির ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেটিকে পর্যায়ক্রমে ৬ শতাংশে উন্নীত করা হবে। কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যাঁরা নিয়মিত কর দেন, তিন বছর পরপর তাঁদের কর শতভাগ থেকে অর্ধেক করার চিন্তা করা হচ্ছে।

সংলাপে প্যানেল আলোচকদের প্রশ্নে করার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, ঢাকা; ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ক্ষমতায় গেলে গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা এনসিপির প্রধানতম লক্ষ্য। এনসিপি গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে থাকবে। যদি এনসিপি ক্ষমতায় যায়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার রক্ষা করা হবে।

এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকারের জায়গা থেকে একটা কর্মসূচি নিতে হবে। সেটা হচ্ছে ‘হিসাব দাও’। এ কর্মসূচির আওতায় সরকারের সব প্রকল্পকে নিয়ে আসতে হবে। এই কর্মসূচির অধীনে জনগণের প্রকল্পের তথ্য পাওয়ার সুযোগ থাকবে এবং সে অনুযায়ী জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আচরণবিধি

সংলাপে প্যানেল আলোচকদের প্রশ্ন করার সুযোগ ছিল। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রশ্ন করেন, ১৯৯১ সালে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। এর একটা বড় কারণ ছিল, তিন জোটের রূপরেখা এবং রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা বসে আচরণবিধি তৈরি করে সেটা মেনে চলেছিল। বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণে সব দল বসে এমন একটি আচরণবিধি তৈরি করে সেটি মানবে কি না?

এর জবাবে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সম্পর্কে মানুষের ধারণা খারাপ হয়ে গেছে। সবাই মিলে একটা ঘোষণা দেওয়া উচিত, অতীতে যা ভুল হয়েছে, সামনে এ ভুল আর হবে না। রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা থাকলে আচরণবিধি হতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে পরস্পর পরস্পরকে ধ্বংস করার চেষ্টা না করে গণতন্ত্রকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে কিছুটা সফলতা আসতে পারে।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হবে। প্রয়োজনে দ্বিতীয় লড়াই করা হবে। আর নাহিদ ইসলাম বলেন, এ নিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্ব নিতে হবে। তবে সেটি সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।

র‍্যাব বিলুপ্ত করা উচিত কি না

মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন প্যানেল আলোচকদের কাছে জানতে চান, র‍্যাব বিলুপ্ত করা হবে কি না অথবা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সেনা উপস্থিতি বন্ধ করা হবে কি না।

আলোচকদের মধ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে রাজনীতিকরণের বাইরে রাখতে হবে। সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে কী নীতি অনুসরণ করা হবে, পাশাপাশি প্রতিরক্ষা নীতি কোন ধারায় পরিচালিত হবে—সবকিছু জবাবদিহি এবং জনগণের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রণয়ন করা উচিত।

এ বিষয়ে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, কোন প্রতিষ্ঠান থাকবে বা থাকবে না, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামগ্রিক সংস্কারের বিষয়। রাষ্ট্রীয় নীতি ঠিক থাকলে এবং জবাবদিহি থাকলে এগুলো অনেকাংশে দমন হয়ে যাবে।

তবে নাহিদ ইসলাম বলেন, র‍্যাব বিলুপ্ত করা উচিত। পাশাপাশি এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) এবং ডিজিএফআইয়ের (প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা) মতো বাহিনীকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা উচিত। সব দলের ইশতেহারে এটি থাকা দরকার।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভবিষ্যৎ কী

সংলাপে ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ প্রশ্ন করেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে কি না।

জবাবে প্যানেল আলোচক মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি মুক্ত গণমাধ্যমকে সমর্থন করে। ক্ষমতায় যেতে পারলে এই নীতিকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, তবে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা এখনো আসেনি। এই দুটোর ভেতরে পার্থক্য চিহ্নিত করতে হবে।

হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে জামায়াতে ইসলামী। গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের মর্যাদা দেওয়া হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। গণমাধ্যমে হামলার ঘটনা ঘটছে। সার্বিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে না গেলে গণমাধ্যমের এ বিষয়গুলো সামনে আরও আসবে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবেন কি না এবং নির্বাচনের পর তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে প্যানেল আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সবার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে দেশের নাগরিক হিসেবে দেখতে হবে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখা হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবেন।

আওয়ামী লীগের ভোট টানতে প্রতিযোগিতা

সংলাপে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ প্রশ্ন করেন, বিএনপিতে যোগ দেওয়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিষয়ে দলটির অবস্থান কী হবে। এ সময় সভার সঞ্চালক ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ বলেন, এ ধরনের ঘটনা জামায়াতসহ অন্য দলগুলোতেও ঘটেছে।

এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এক-দুইটা ক্ষেত্রে এমন হতে পারে। এখনো মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়নি। পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্তভাবে কিছু বলা যায় না। ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছে বিএনপি। বিএনপি ফ্যাসিস্টদের নিয়ে কাজ করবে না।

তবে জামায়াতে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী যোগ দেননি বলে দাবি করেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি বলেন, এমন হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে অগোচরে হয়ে থাকলে দল ব্যবস্থা নেবে।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট নিজেদের পক্ষে নেওয়ার জন্য বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে।

আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ট্রুথ কমিশন’ গঠনের আলাপ উঠলেও সেটি হয়নি। সমাজে যাঁরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছেন, তবে গণহত্যা বা সন্ত্রাসে জড়িত ছিলেন না, তাঁদের নাগরিক বা রাজনৈতিক অধিকার থাকতে পারা বা যেকোনো দলে যাতে যোগ দিতে পারেন, সেটা স্পষ্টভাবে বলতে হবে। এই পার্থক্য করা উচিত ছিল। তিনি ‘রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ করার পক্ষে বলেও জানান।

সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সাবেক নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর প্রমুখ।