সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখা ও জুলাই সনদের বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও প্রগতিশীল কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মতবিনিময় সভা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এ সভা হয়।
পরে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা জোটের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বৈঠকের বিষয়ে জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে সব দলের নেতারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং জাতীয় ঐকমত্যের স্বার্থে যেকোনো ছাড়ের বিনিময়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করার ব্যাপারে মতৈকে পৌঁছান।
নেতারা বলেন, কোনো অজুহাতে যেন নির্বাচন বাধাগ্রস্ত না হয়। গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাঁরা মনে করেন, আগামী নির্বাচন প্রলম্বিত করার যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ভাষ্য, সংসদ নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করেন বাম জোটের নেতারা। সংবিধানসংশ্লিষ্ট মৌলিক সংস্কারের বিষয়গুলো পরবর্তী সংসদেই বাস্তবায়ন করার পক্ষে তাঁরা। বাম জোটের নেতারা মনে করেন, অপ্রয়োজনীয় বিষয়াদি নিয়ে সংস্কার কমিশনের কালক্ষেপণের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ একটি নির্বাচনের ট্রেনে উঠে গেছে এবং এই নির্বাচনমুখী যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোস্তাক হোসেন, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় পার্টির (একাংশ) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) প্রেসিডিয়াম মেম্বার জয়দেব ভট্টাচার্য, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।