Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে নিজের দায়বদ্ধতা আমরা চিন্তা করি না। উন্নত দেশে গণমাধ্যম স্বাধীনতার পাশাপাশি নিজের দায়বদ্ধতা নিয়েও তারা সচেতন থাকে। আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রে সেটির অভাব আছে। কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশে অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কয়েক দিন ধরে কিছু রিপোর্টের কারণে বিবিসির কার্যালয়ে কীভাবে তল্লাশি চলছে। বিবিসি বাংলাদেশেও অনেক ভুল, অসত্য রিপোর্ট করেছিল। কিন্তু বিবিসির কার্যালয়ে কোনো পুলিশও যায়নি, ট্যাক্স অফিসারও যায়নি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য ‘জনগণ গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে’–এর জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল আর ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেবদের সমবেত করে দল গঠন করেছিলেন, তারা যখন এই কথা বলে তখন মানুষ তো বটেই গাধাও হাসে, হনুমানও ভেংচি কাটে। কারণ, এ দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল এবং ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাবাহিনীর অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছিল, আওয়ামী লীগের ২২ হাজার নেতা–কর্মীকে হত্যা করেছিল। সে কারণে মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব, আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখার জন্য।’

এর আগে বক্তৃতায় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। গণমাধ্যমে সমাজের চিত্রটা পরিস্ফুট হওয়া প্রয়োজন। সে জন্য গণমাধ্যমকে সমাজের অসংগতি এবং উপেক্ষিত মানুষের কথা এবং ভালো কাজের প্রশংসা তুলে ধরতে হয়। সমাজ এবং রাষ্ট্র অনেক সময় যেদিকে তাকায় না, যা নিয়ে ভাবে না সেগুলো তুলে আনা প্রয়োজন। আশা করি, দেশ টিভি এ কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

দেশ টিভির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান তৌফিকা করিমের সভাপতিত্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। এ সময় প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।