Thank you for trying Sticky AMP!!

আরাভ খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল

দুবাইয়ে সোনার দোকান চালু করে আলোচনায় আসা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। আজ রোববার প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ক্রীড়া ও বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকাকে নিয়ে গত বুধবার দুবাইতে সোনার দোকান উদ্বোধন করে আলোচনায় আসেন রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রবিউল ইসলাম একজন পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার আসামিও। সোনার দোকান চালুর ঘটনাকে ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে অতীতের নানা অভিযোগ এখন সামনে এসেছে।

এ বিষয়ে জানতে আজ মোবাইল ফোনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আসলে সে কে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তে যে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যাবে তার ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Also Read: যেভাবে রবিউল ইসলাম হয়ে ওঠেন ‘আরাভ খান’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আলোচিত আরাভ খানই পুলিশ কর্মকর্তা খুনের মামলার সেই আসামি কি না, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এতে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁকে আইনের মুখোমুখি করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দুবাই থেকে তাঁকে ফেরত আনার আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

Also Read: শুধু ‘আরাভ খান’ নন, দুবাইকে নিরাপদ ভাবেন অনেক অপরাধী

গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে, দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্স নামের সোনার দোকানের মালিক আরাভ খানের আসল নাম রবিউল ইসলাম। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তাঁর বাড়ি। তিনি সোহাগ মোল্লা, হৃদয় শেখ, আপন-এ ধরনের বিভিন্ন নামে পরিচিত।

২০১৮ সালের ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের পরিদর্শক মামুন এমরান খান খুন হন। সেই খুনের মামলার আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন রবিউল।

ডিবি পুলিশ বলেছে, রবিউল দেশ থেকে পালিয়ে প্রথমে ভারতে যান। সেখান থেকে আরাভ খান নামে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দুবাই চলে যান।