অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। (বাঁ থেকে) মিয়া গোলাম পরওয়ার, আলী রীয়াজ, সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমদ। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিরা। (বাঁ থেকে) মিয়া গোলাম পরওয়ার, আলী রীয়াজ, সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমদ। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

জুলাই জাতীয় সনদে ২৪ দলের সই

নানা অনিশ্চয়তা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সই হয়েছে নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে তৈরি এই সনদে শুক্রবার সই করেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল ও জোট। পাশাপাশি সনদে সই করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।

তবে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা তরুণদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনুষ্ঠানে যায়নি, সনদে সইও করেনি। এ ছাড়া চারটি বাম দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ জুলাই সনদে সই করেনি। আর গণফোরাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সই করেনি সনদে। অবশ্য দলগুলো চাইলে পরেও সনদে সই করতে পারবে।

এদিকে বেলা একটার দিকে ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে একদল লোক অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এরপর সংসদ ভবন এলাকার আশপাশে পুলিশ ও ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে সংঘর্ষ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

সরকার–সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর সরকারের উপদেষ্টাদের কেউ কেউ অনুষ্ঠান করা যাবে কি না, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নেন। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজও অনুষ্ঠান করার পক্ষে দৃঢ় থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জুলাই জাতীয় সনদে সই করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

দুপুরে সংঘর্ষের পর বিকেলে বৃষ্টি, কয়েকটি দলের অনুপস্থিতির মধ্যে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় শুরু হয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরকে ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে ঐক্যে জুলাই সনদে সই হলো, এই ঐক্যের সুরই দেশকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদের মতো রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়েও রাজনৈতিক নেতাদের বসে একটি সনদ তৈরি করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বিকেল সোয়া চারটার দিকে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চে আসেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মঞ্চে আসেন প্রধান উপদেষ্টা ও ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর বিএনসিসি, স্কাউট সদস্যদের কুচকাওয়াজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ। তাঁর বক্তব্যের পর বিকেল পাঁচটার দিকে দলগুলোর প্রতিনিধি ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা সনদের অঙ্গীকারনামা অংশে সই করেন। মঞ্চে থাকা প্রতিটি দলের দুজন করে প্রতিনিধি সই করেন।

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মঞ্চে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠান হয়

সবার শেষে সনদে সই করেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজনৈতিক নেতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য এবং অন্য অতিথিরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ ও আহতদের দাঁড়িয়ে সম্মান জানান। সনদ স্বাক্ষর শেষে সন্ধ্যায় জুলাই সনদ নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।

সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রায় তিন হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে সংঘর্ষ এবং কিছুটা বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলের অনেক আসন ফাঁকা দেখা গেছে।

নবজন্ম হলো: প্রধান উপদেষ্টা

সনদে সই করার পর ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নবজন্ম হলো আজকে। এই স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করলাম। আমরা একমত হয়েছি সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’

এই অগ্রযাত্রায় পথ দেখানোর ভার তরুণদের দিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘যেই তরুণেরা এই দিনটিকে সম্ভব করেছে, বাংলাদেশের আনাচকানাচে এই পরিবর্তনের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তারা, এই তরুণেরাই আবার বাংলাদেশকে নতুন করে গড়বে।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাত্রার শুরুটা ‘ভয়ে ভয়ে’ হয়েছিল মন্তব্য করে শেষ পর্যন্ত অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ায় রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সমস্ত জাতি একসঙ্গে হয়ে, সমস্ত রাজনৈতিক নেতা একসঙ্গে হয়ে তাঁরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করছেন। এ রকম ঘটনা ঘটবে, এ রকম কেউ আমরা চিন্তাও করতে পারিনি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন

জুলাই সনদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এখন পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এখানে স্বাক্ষর করলাম সবাই মিলে, সেটা দিয়ে বাংলাদেশ পরিবর্তন হবে। এই পরিবর্তন সম্ভব হলো ওই গণ-অভ্যুত্থানের কারণে। এটা হলো দ্বিতীয় অংশ। সেটা তারা করেছিল বলেই আজকে আমরা এই সুযোগ পেলাম।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনের পথে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। যে সুর আজকে আমরা এখানে বাজালাম, সেই সুর নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ঐক্যের সুর, ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং এই ঐক্য যেন বজায় থাকে।’

জুলাই জাতীয় সনদের মতো রাজনীতি ও নির্বাচনের বিষয়েও রাজনৈতিক নেতাদের বসে একটি সনদ তৈরি করার পরামর্শ দেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক নেতারা বসে, বিভিন্ন দলের নেতারা বসে একটা সনদ করেন, কীভাবে নির্বাচন করবেন। সবাই মিলে এমনভাবে নির্বাচন করব, দুনিয়ার কেউ এসে বলতে পারবে না এখানে ক্ষতি হয়েছে।’ বিশ্বের জন্য উদাহরণ হবে, সে রকম একটি নির্বাচন করার প্রত্যাশা জানান তিনি।

অভূতপূর্ব এবং অনন্য সময়

সনদ স্বাক্ষরের দিনটিকে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অভূতপূর্ব ও অনন্য সময় হিসেবে অভিহিত করেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, একটি ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এটি হচ্ছে আমাদের দীর্ঘ পথের যাত্রার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের আদর্শের যে রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা, তা ৫৩ বছর ধরে বারবার হোঁচট খেয়েছে। এরপরও দেশের নাগরিকেরা গণতন্ত্র এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।’

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

অনুষ্ঠানে জুলাই শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মঞ্চে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও মো. আইয়ুব মিয়া। তাঁরাও সনদে সই করেন। সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অনুষ্ঠানে আরও যাঁরা ছিলেন

অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধানেরা, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টাদের মধ্যে ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী প্রমুখ।

এ ছাড়া তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন। তবে অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে তাঁদের একই সারিতে বসতে দেখা যায়নি।

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন তিন বাহিনীর প্রধানেরা। শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায়

অনুষ্ঠানে ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাস্তবায়নের সুপারিশ এ মাসেই

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার আনার লক্ষ্যে প্রস্তাব তৈরির জন্য গত বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে এই কমিশনগুলো তাদের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব সরকারের কাছে জমা দেয়। সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির লক্ষ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর কমিশন প্রস্তাবগুলো নিয়ে এ বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত দলগুলোর সঙ্গে দুই পর্বে আলোচনা করে। প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দল আলোচনায় অংশ নেয়।

নির্বাচন কমিশনে এখন নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত আছে। কমিশন যে ৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে সনদ প্রস্তুত করেছে, তার মধ্যে নিবন্ধিত কিছু দলের পাশাপাশি অনিবন্ধিত কিছু দলও আছে। অন্যদিকে নিবন্ধিত অনেক দল কমিশনের আলোচনায় ডাক পায়নি। মূলত ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের ভূমিকা বিবেচনা করে দলগুলোকে বাছাই করেছিল ঐকমত্য কমিশন।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটে দলগুলো একমত হলেও গণভোটের ভিত্তি, দিন ও পথ–পদ্ধতি নিয়ে মতভিন্নতা আছে। এটি নিয়ে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ দেবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।