গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবেন।
গণ অধিকার পরিষদের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে গিয়ে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ-৪ আসন ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি।
গণ অধিকার পরিষদের ঘনিষ্ঠ ওই সূত্র বলছে, বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় গণ অধিকার পরিষদ থেকে ট্রাক প্রতীকে নির্বাচন করলে ওই আসনে জয়লাভ করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে নানা অনিশ্চয়তা থাকবে। সে জন্য ঝিনাইদহ–৪ আসনে জয় নিশ্চিত করতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে সেখান থেকে নির্বাচন করতে চান রাশেদ। সে জন্য বিএনপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ওই সূত্রের ভাষ্য, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিকদের মধ্যে যাঁদের আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের অনেককেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে বলা হয়েছে। তাই রাশেদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কে হবেন, তা নির্বাহী পরিষদ এবং উচ্চতর পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও ওই সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি সমঝোতার মাধ্যমে শরিকদের ২৮টি আসন ছেড়ে দিচ্ছে। গত বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ১০টি আসনে শরিক দলের নেতাদের আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিন তিনি ঝিনাইদহ-৪ আসন গণ অধিকার পরিষদের রাশেদ খানকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানান।
এর পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, এ আসন থেকে রাশেদ খানকে প্রত্যাহার করতে হবে। তাঁরা সাইফুল ইসলাম অথবা মুর্শিদা জামানের মধ্যে একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো গণ অধিকার পরিষদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের উচ্চতর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় দল থেকে সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে বহিষ্কার করা হয়েছে।