Thank you for trying Sticky AMP!!

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ সমাবেশ করে

সরকার যত হুংকার দিচ্ছে, দাম ততই বাড়ছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অভিযোগ করে বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম কমানো নিয়ে সরকার যত হুংকার ও যত ঘোষণা দিচ্ছে, দাম ততই বাড়ছে। বাজারে বাজারে যেসব সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, তারা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। তারা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে চায়।

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও অরক্ষিত সীমান্তের প্রতিবাদে’ এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁরা।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমলেও দেশে কমছে না। উল্টো আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। সিন্ডিকেটের মূল হোতা এই সরকার, এমন অভিযোগ তুলে সাকি বলেন, তারা (সরকার দলের লোকেরা) নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে চায়।

ভারত ও চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা বললেও বর্তমান সরকার সম্পর্কের সামান্য ব্যবহার করতে পারছে না বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তাঁর অভিযোগ, ভুয়া নির্বাচন করে পাঁচ বছরের জন্য নিজেদের ক্ষমতার মালিক ভাবছে আওয়ামী লীগ সরকার।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার বলেছে, তারা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাহলে টিসিবির লাইনে মানুষের দীর্ঘ লাইন কেন? সব বিষয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) মিথ্যাচার করে, এমন দাবি করে মান্না বলেন, মিথ্যা বলতে বলতে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।

সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি তানিয়া রব বলেন, জনগণের মতামতের গুরুত্ব না থাকার কারণে দেশ এখন অনৈতিকতার চারণভূমি হয়ে গেছে। আর রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সীমান্তে কেন বিজিবি সদস্য হত্যা করা হচ্ছে, এ নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে বলেছেন, সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় রয়েছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মাহমুদ হাসান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ প্রমুখ।