রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভোটের আমেজেই ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উদ্যাপন করল বিএনপি। ঢাকার সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের ধানের শীষের নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শিত হয়। সমাবেশে কর্মী-সমর্থকদের মুখে ছিল নির্বাচনী স্লোগান, নেতাদের বক্তব্য ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক। ঢাকার সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।
ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, কুমিল্লা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ, বগুড়াসহ সব বিভাগ ও জেলায় ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে গতকাল শুক্রবার সারা দেশে ব্যাপকভাবে মাঠে নামে বিএনপি। বিভিন্ন আসনে দল মনোনীত প্রার্থীদের উপস্থিতিতে এসব কর্মসূচি কার্যত নির্বাচনী প্রচারের অনানুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে ওঠে।
ঢাকার সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দলের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিকে ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলতে চাই, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হতে হবে এবং সেই নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হতে হবে। এর অন্যথা হলে বাংলাদেশের মানুষ কিছুতেই তা মেনে নেবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল জোট গড়ে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। তারা বলছে নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে। আমরা বলেছি, গণভোট নির্বাচনের দিনই হতে হবে। কারণ, দুটি ভোট করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হবে এবং মূল নির্বাচনের গুরুত্ব কমে যাবে। আজ দুর্ভাগ্যজনকভাবে অন্তর্বর্তী সরকার, যাদের আমরা সম্পূর্ণ সমর্থন দিয়েছি, তারাই এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে, যাতে নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।’
বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদ নির্বাচনের আগপর্যন্ত নেতা-কর্মীদের নিরন্তর আন্দোলনের শপথ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব এবং ইনশা আল্লাহ এই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলব।’
কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না।মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব, বিএনপি
গতকাল বেলা সাড়ে তিনটায় ঢাকায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে দলটি রাজধানীতে শোভাযাত্রা বের করে। সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, একটি দল ধর্মের ব্যবসা করে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। তারা বলছে, একটি বৃহৎ দল ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির ষড়যন্ত্র করার ও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো ইতিহাস নেই। বিএনপি কিছুদিন শান্ত থেকে সরকারকে সহযোগিতা করে গেছে। এই নম্রতাকে যারা দুর্বলতা ভাবছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।
সমাবেশ শেষে নয়াপল্টন থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রা কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার, বাংলামোটর হয়ে সার্ক ফোয়ারার সামনে এসে শেষ হয়। কর্মসূচিতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাসাস, কৃষক দল, মৎস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম (মজনু) প্রমুখ।
চট্টগ্রামের সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে সনদ সই হয়েছে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারা এর বাইরে গিয়ে দেশে তাদের নিজস্ব দাবি অন্য দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের বলছি, গণতন্ত্রের পথে আবার শেখ হাসিনার পথে গেলে চলবে না। ঢাকায় বসে জোর করে আপনার দাবি আদায়ের জন্য বিএনপি কিংবা আর কারও ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন না।’
গতকাল বিকেলে নগরের ষোলশহর ২ নম্বর গেট এলাকার বিপ্লব উদ্যানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আমীর খসরু মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, নোয়াখালী-৬ আসনে দল মনোনীত প্রার্থী মাহবুবের রহমান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-৫ আসনের প্রার্থী মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
সিলেটে দিবসের কর্মসূচি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলার চারটি আসনে মনোনয়ন পাওয়া চার নেতা। তাঁরা আগামী নির্বাচনে জেলার ৬টি আসনসহ বিভাগের ১৯টি আসন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উপহার দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং সিলেট-১ আসনে মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট-৪ আসনে মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনে মনোনীত প্রার্থী এম এ মালিক, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট-৬ আসনের প্রার্থী এমরান আহমদ চৌধুরী।
এর আগে নগরের বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
বরিশালের গৌরনদীতে জনসভার মধ্য দিয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী যাত্রা শুরু করেন বরিশাল-১ (গৌরনদী-আগৈলঝাড়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন।
গতকাল গৌরনদী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব (আন্তর্জাতিক বিষয়ক) হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে। জনগণের জন্য কাজ করতে হলে প্রথমে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি দেশের মানুষের সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই করছে।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। শহরের গোডাউন রোডের বশির ভিলায় এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
সংসদ নির্বাচনের আগে কিছু দল পিআর-টিআরের নামে ষড়যন্ত্রে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুক। তিনি বলেন, ‘ওদের ব্যাপারে আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন।’ নোয়াখালীর সেনবাগ পৌর শহরের থানার মোড়ে আয়োজিত সমাবেশেও প্রধান অতিথি ছিলেন জয়নুল আবেদীন ফারুক।
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের পথে কয়েকটি রাজনৈতিক দল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে তারা নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেশকে আবার অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে চায়।
যশোরের কেশবপুরে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে দলীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। সেখানে যশোর-৬ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলামের (শ্রাবণ) সঙ্গে অংশ নেন মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য তিন নেতাও। তাঁরা হলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস এবং কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে অমলেন্দু দাস বলেন, ‘কেন্দ্রের মতামত অনুযায়ী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান থেকে আমরা একত্র হয়েছি। এটা ঐক্যবদ্ধতার একটা দৃষ্টান্ত।’
দলীয় মনোনয়ন পাওয়া রওনকুল ইসলাম বলেন, ‘আজকের কর্মসূচিতে সবার উপস্থিতি আনুষ্ঠানিক ঐক্যবদ্ধতা প্রমাণ করে। এতে কর্মীরাও উজ্জীবিত হয়েছেন। ভোটারও ভরসা পেয়েছেন।’ ধানের শীষের মনোনয়ন পেয়ে এই ঐতিহাসিক দিনে তিনি আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করলেন বলে জানান।
গাজীপুরে গতকাল বিকেলে নগরের শিববাড়ী মোড় থেকে বড় ধরনের শোভাযাত্রা বের করে মহানগর বিএনপি। শোভাযাত্রায় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম মঞ্জুরুল করিমের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। গাজীপুর জেলা বিএনপি বিকেলে রাজবাড়ী রোডের জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে আরেকটি বিশাল শোভাযাত্রা বের করে। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গাজীপুর-৩ আসনে মনোনীত প্রার্থী এ কে এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও গাজীপুর-৫ আসনে মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, সদস্যসচিব ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী, যুগ্ম আহ্বায়ক ও গাজীপুর-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরে বড় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম শুরু করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু)। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের আলাইপুর থেকে বের হওয়া শোভাযাত্রায় সোনালি ধানের শীষ দিয়ে মোড়ানো পাওয়ার ট্রলি, ট্রাক ও শত শত মোটরসাইকেলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। কর্মীদের হাতে ছিল ভোটের প্রচারণার ব্যানার-ফেস্টুন।
কুড়িগ্রামে জেলা বিএনপির র্যালিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা হাতে অংশ নেন। এ ছাড়া সমাবেশ থেকে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও কুড়িগ্রাম-২ আসনে দলীয় প্রার্থী সোহেল হোসাইন কায়কোবাদকে জয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আলোচনা সভার পাশাপাশি মৌলভীবাজার-৪ আসনের বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরীকে নিয়ে শোভাযাত্রা করেছে উপজেলা বিএনপি। এতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
ভোলায় বড় সমাবেশ ও শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভোলা-১ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর। শোভাযাত্রায় লাঠিখেলা, ঢোলবাদ্য ও ধানের শীষ প্রতীকের ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন দল ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতা-কর্মী।
মানিকগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশ থেকে মানিকগঞ্জের সব আসন পুনরুদ্ধারে নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা।
কক্সবাজার শহরে দিবসটি উপলক্ষে বের করা মিছিল কক্সবাজার-৩ (সদর, রামু ও ঈদগাঁও) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া লুৎফর রহমান কাজলের নির্বাচনী প্রচারণার মহড়ায় রূপ নেয়। মিছিলে ধানের শীষ প্রতীক প্রদর্শন করা হয়। দলের নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে ছিল ধানের শীষের পক্ষে নানা স্লোগান।
বগুড়ার শেরপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া সাবেক সংসদ সদস্য জি এম সিরাজ। উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি ধানের শীষ প্রতীকের জন্য দোয়া চেয়ে বলেন, ‘ধানের শীষ জিতলে, আপনারা জিতবেন, জিয়া পরিবার জিতবে।’
নরসিংদী শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকার পৌর ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নেন বিএনপির আরেক যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন। তিনি বলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরে এসে দলকে পুনর্গঠিত করবেন। চলতি মাসের শেষের দিকেই তিনি দেশে ফিরে রাজনীতির হাল ধরবেন। জনগণ তাঁকে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
এ ছাড়া খুলনা, কুমিল্লা, ঝালকাঠি, রাজশাহী, রংপুর, লালমনিরহাট, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরাসহ অন্যান্য জেলায়ও সমাবেশ, শোভাযাত্রা হয়েছে ভোটের আমেজে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]