
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। এবারের নির্বাচনে ‘অপরাজনীতি ও ভয়ের ঊর্ধ্বে উজ্জ্বল সম্ভাবনার ডাকসু’ স্লোগানে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে সংগঠনটি।
এই প্যানেল থেকে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ইয়াসিন আরাফাতকে সহসভাপতি (ভিপি), কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল খায়রুল আহসান মারজানকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিকে সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেন।
ডাকসুতে ২৮ পদের জন্য ২৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। এসব পদের মধ্যে সম্পাদক পদে দুজন ও সদস্য পদে একজন নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন। আর গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে প্রার্থী ঘোষণা করলেও জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে পরে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এই প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আবু বকর সিদ্দিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে জুয়াইরিয়া আখতার তামান্না, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জাকিয়া আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আলী, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ইয়াসিন আরাফাত, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে মো. ইমরান মিয়া, সমাজসেবা সম্পাদক পদে শাহরিয়ার আলম, ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে মনসুরুল হক শান্ত, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মুঈনুল ইসলাম এবং মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে শাহরিয়ার জাবিরকে প্রার্থী করা হয়েছে।
সদস্য পদে ফারুক হাওলাদার, মোসা. হাবিবা, ইলিয়াস তালুকদার, নূরুল জান্নাত মান্না, ইকরামুল কবির, মোহাম্মদ আফজাল হোসেন সিয়াম, এরফান মোহাম্মদ, রিয়াদ হোসাইন, রেজাউল করিম, মোহাম্মদ ইমাদুল ইসলাম আকাশ, ইসমাইল হোসেন, সাদমান সাকিব ও আজিজুল হাসানকে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্যানেল ঘোষণার পর ভিপি প্রার্থী ইয়াসিন আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের ইতিহাস অপরাজনীতি ও ভয়ের। এই অপরাজনীতি ও ভয়ের পরিবেশের কারণে শিক্ষায়তনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিকশিত হতে পারেনি। আমরা বিজয়ী হলে অপরাজনীতি ও ভয় দূর করতে কাজ করব। ক্যাম্পাসে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা, আবাসন সংকট, খাবারের মান বৃদ্ধি করব।’
সব শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করার ঘোষণা দিয়ে জিএস প্রার্থী খায়রুল আহসান মারজান বলেন, ‘আমরা ভয়ের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে পূর্ণ মান ও মর্যাদায় উন্নীত করতে চাই। বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আন্তঃসংযোগ তৈরি করতে চাই।’