‘বিচার বিভাগসংক্রান্ত সংস্কারমূলক অধ্যাদেশের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির নেতারা। ২৭ জানুয়ারি
‘বিচার বিভাগসংক্রান্ত সংস্কারমূলক অধ্যাদেশের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির নেতারা। ২৭ জানুয়ারি

বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবি পার্টি

বিচার বিভাগ সংস্কার ও বিচারপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এবি পার্টি। তবে সংস্কার বাস্তবায়নকারী সংস্থা, বার কাউন্সিলসহ আরও কিছু বিষয়ের সংস্কার না হলে জনগণ আদালত থেকে কাঙ্ক্ষিত ন্যায়বিচার পাবে না বলে মনে করে দলটি।

সোমবার ‘বিচার বিভাগসংক্রান্ত সংস্কারমূলক অধ্যাদেশের মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা’ নিয়ে এবি পার্টি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়গুলো উঠে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার ২১ জানুয়ারি ‘বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০২৫’ জারি করে। এই অধ্যাদেশ উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগপ্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া।

এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, ‘বিচার বিভাগ সংস্কার ও উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু নিম্ন আদালতে পিপি, এপিপি নিয়োগের কোনো স্বচ্ছ প্রক্রিয়া নেই। তেমনি আমরা মনে করি, নিম্ন আদালতে শুধু বিজিএস পরীক্ষা দিয়েই একজন আইনের ছাত্র বিচারক নিয়োগ পেতে পারে না। বিচারক নিয়োগ পেতে কমপক্ষে আইনজীবী হিসেবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা বাধ্যতামূলক করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, সানী আবদুল হক, আলতাফ হোসাইন, এবি লইয়ার্সের যুগ্ম আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান, তারিকুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল আরিফ, আরাফাত, এবি পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব আহমাদ বারকাজ, উত্তরের যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুর রব, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক এনামুল হক, সহমহিলাবিষয়ক সম্পাদক আমেনা বেগমসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।