
চিকিৎসারত বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন ছেলে তারেক রহমান। সোমবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। মাকে দেখে ও তাঁর চিকিৎসার খোঁজ–খবর নিয়ে রাত ১টা ৫৪ মিনিটে পরিবারের সদস্যসহ হাসপাতাল ত্যাগ করেন তারেক রহমান।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে ফেরার পর মাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তারেক রহমান। এরপর গত শনিবার থেকে তিনি নিয়মিত মাকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন।
এর আগে আজ সকাল, বিকেল ও রাতে হাসপাতালে এসেছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। এ ছাড়া আজ হাসপাতালে এসেছেন খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান, আরাফাত রহমান কোকোর মেয়ে জাহিয়া রহমান। আর রাত ১০টা ২৩ মিনিটে হাসপাতালে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসাকে ঘিরে হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এর মধ্যে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ), প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেন। এ ছাড়া কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় হাসপাতালের প্রধান ফটক। নিরাপত্তায় রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্সের (সিএসএফ) সদস্যরাও।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়াই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, চিকিৎসারত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত জটিল। তিনি সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন।
খালেদা জিয়ার নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা ওঠানামা করছে। নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে।