ভারত অবিলম্বে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে তাদের সব ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। এই সুবিধা বাতিলের মধ্য দিয়ে ভারত চিরাচরিত অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে এসব কথা বলা হয় বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দলটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতকে মনে রাখতে হবে তার উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের ট্রানজিট সুবিধা প্রয়োজন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে ভারত যদি ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পুনর্বহাল না করে, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তর দিয়ে তার সব ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করতে হবে।’
বৈঠকে বলা হয়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত উৎসব ‘চৈত্রসংক্রান্তি’ পালনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি/আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করার অধিকার সরকারের নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপিত হবে চিরায়ত মুসলিম বাংলার ঐতিহ্যের আলোকে। অন্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের নিজস্ব পরিমণ্ডলে ধর্মীয় আচার উদ্যাপন করতে পারে। সর্বজনীনতার নাম দিয়ে পয়লা বৈশাখে বিভিন্ন অপসংস্কৃতি মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
বাংলা সন উদ্যাপনে কোনো প্রকার অনৈসলামিক কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে সরকারকে অবিলম্বে চৈত্রসংক্রান্তি বাধ্যতামূলক পালনের নির্দেশনা প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানায় দলটি।
বৈঠকে ১২ এপ্রিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ সফলের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন অবিলম্বে শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারের জোর তৎপরতার দাবি জানায় দলটি।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ। মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সৈয়দ ফেরদাউস বিন ইসহাক প্রমুখ।