জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়
জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরকে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে ‘একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে কমিশনগুলো গঠন করেছিল, সেগুলো প্রায় দীর্ঘ সাত-আট মাস পরিশ্রম করে আজকে এই সনদ (জুলাই সনদ) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫–এ স্বাক্ষর করার পর এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। এই সনদ চূড়ান্ত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, সব রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যাঁরা কাজ করেছেন, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, যাঁরা সংস্কার কমিশনে দীর্ঘদিন ধরে দিনের পর দিন কাজ করেছেন এবং তাঁদের দলের নেতা সালাহউদ্দিন আহমদসহ সব দলের সদস্যদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে, তা নির্ধারণে আলাপ-আলোচনায় বসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে বাংলাদেশের প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার মধ্যে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৩০০ জন জাতীয় সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদে আছে যারা নারী সদস্য থাকবে। কিন্তু এখন কেউ কেউ সেটা বর্ণনা করছে যে নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত—অন্য কিছু না। এটা সত্য। নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন পরিচালনা করবে কিন্তু কীভাবে করবে, সেটা বর্ণিত আছে।’

জাতিকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার পরেও যদি আলাপ-আলোচনা করতে চান, আমরা আলাপ-আলোচনায় বিশ্বাস করি।’