বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ

নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনের সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে প্ল্যাটফর্মটি। নির্বাচন কমিশন শিগগিরই নির্বাচনী বিধিমালা তৈরি করে প্রার্থিতা আহ্বান করবে।

আজ শুক্রবার বেলা তিনটার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এমন এক সময়ে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে, যখন প্ল্যাটফর্মটির পরিচয় ব্যবহার করে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লুৎফর রহমান। আর কমিশনার হিসেবে থাকবেন ওয়াহিদুজ্জামান ও মোহাম্মদ রাকিব। নবগঠিত এই কমিশন অবিলম্বেই নির্বাচনী বিধিমালা প্রস্তুত করে প্রার্থিতা আহ্বান করবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়া লুৎফর রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক। বর্তমানে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৩৬ দিনের সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন দল ও মতের শিক্ষার্থীরা সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন।

অভ্যুত্থানের প্রায় তিন মাসের মাথায় ২২ অক্টোবর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র ও আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক করা হয়। উমামা ছাড়া বাকি তিনজনই এখন এনসিপির নেতা। শুধু তাঁরাই নন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বড় অংশই নতুন দলটিতে যোগ দিয়েছেন।

গত বছরের জুলাইয়ে যখন কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু হয়, তখন এর উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্ত ছিল, আন্দোলন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু পরে একটি অংশের উদ্যোগে এই প্ল্যাটফর্ম পুনর্গঠন করা হয়। এ নিয়ে অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো বিভিন্ন সময়ে সমালোচনাও করেছে।

তবে যেদিন প্ল্যাটফর্মটির পুনর্গঠন করা হয়, ওই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের দাবি করেন, আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং এই ব্যানার ফ্যাসিবাদের পতন ত্বরান্বিত করেছে। দেশের মানুষ মনে করে, এই ব্যানারের কার্যক্রম এখানেই শেষ হওয়ার সুযোগ নেই।