
রাজধানীর বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ২৮ জুন জাতীয় পার্টির (জাপা) দশম জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সম্মেলন স্থগিতের কথা জানায় জাপা। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই এই সম্মেলন স্থগিত করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত। এককভাবে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া দলীয় গঠনতন্ত্র, প্রেসিডিয়ামের সম্মান ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী। আমরা এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত ও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে দলের দশম জাতীয় সম্মেলন স্থগিতের বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ এই দুই নেতা। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘আমরা মনে করি, ২৮ জুনের জাতীয় সম্মেলন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দলীয় গঠনতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী বৈধতা নিশ্চিতের পরিপ্রেক্ষিতে এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই সম্মেলনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে গণতান্ত্রিকভাবে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা দলীয় গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, গত ২০ মে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে কোনো কারণবশত বরাদ্দকৃত সম্মেলনস্থল পাওয়া না গেলে বিকল্পভাবে রাজধানীর কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত স্থানে জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেই সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে।
জাতীয় পার্টির এই দুই জ্যেষ্ঠ নেতার আশা, জাপার চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্র ও প্রেসিডিয়ামের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ২৮ জুনই বিকল্প স্থান হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই দশম জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন নিশ্চিত করবেন। তাঁরা বলেছেন, জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল। গঠনতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের চর্চাই হোক তাদের এগিয়ে চলার প্রধান শক্তি।