সাইফুজ্জামান চৌধুরী
সাইফুজ্জামান চৌধুরী

স্থাবর সম্পত্তি চার গুণ বেড়েছে ভূমিমন্ত্রীর

২০১৩ সালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্থাবর সম্পত্তি ছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এখন তাঁর নামে সম্পত্তি আছে ১০ কোটি ৯ লাখ টাকার। ১০ বছরে স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এই সময়ে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তিও বেড়েছে ১২ গুণের বেশি।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের সংসদ সদস্য। একই আসন থেকে এবারও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর বাবা আখতারুজ্জামান চৌধুরী মারা যাওয়ার পর এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।

এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ এবং ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জয়লাভ করেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। রাজনীতিতে আসার আগে ব্যবসা করতেন তিনি। এখনো পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাইফুজ্জামান চৌধুরীর অস্থাবর সম্পত্তিও বেড়েছে। ২০১৩ সালে অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। এর মধ্যে নগদ টাকা, বিদেশি মুদ্রা ও ব্যাংকে জমা মিলিয়ে মোট ছিল ১ কোটি ১১ লাখ টাকা। বন্ড ও শেয়ারে ছিল ১০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আসবাব সামগ্রী, স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র ছিল ৮০ হাজার টাকার। অন্যান্য খাতে ছিল ৬৮ লাখ ৯২ হাজার টাকা। এখন রয়েছে ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

১০ বছরের ব্যবধানে অস্থাবর সম্পত্তি ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেড়ে এখন হয়েছে ১৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বন্ড বা শেয়ার আছে ৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার।

১০ বছর আগে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর গাড়ি না থাকলেও এখন আছে। এই গাড়ির দাম ৯১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।

স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাড়লেও সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বার্ষিক আয় কমেছে। ২০১৩ সালে তাঁর আয় ছিল ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এখন বছরে আয় হয় ৭৪ লাখ টাকা। আর দায়-দেনার পরিমাণও বেড়েছে তাঁর। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দায় ছিল ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এখন বেড়ে তা হয়েছে ৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

এদিকে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর স্ত্রীর কোনো বার্ষিক আয় নেই। স্থাবর সম্পত্তিও বাড়েনি তাঁর। অবশ্য অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে। ২০১৩ সালে সম্পত্তি ছিল ৬৯ লাখ টাকার। এখন আছে ৮ কোটি ৪৪ লাখ টাকার। এর মধ্যে বন্ড বা শেয়ার আছে ৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আর তাঁর হাতে নগদ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ব্যাংকে জমা রয়েছে মোট ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।