
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা–৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবেন তাসনিম জারা। প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁর নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন। এই সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার।
এ লক্ষ্যে আজ রোববার সকাল থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন তাসনিম জারা। এক দিনেই প্রায় তিন হাজার ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাসনিম জারা নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এক পোস্টে বলেছেন, ‘আমরা সকাল থেকে আপনাদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে ৫ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে।’
স্বাক্ষর সংগ্রহে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাসনিম জারা বলেন, ‘মাহি, সাগরিকা ও রাফির মতো ইনোভেটিভ (উদ্ভাবনী বুদ্ধিসম্পন্ন) স্বেচ্ছাসেবকেরা আমাদের কাছ থেকে ফর্ম নিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে ১০–২০টি করে স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ফেরত দিচ্ছেন।’
তাসনিম জারার জন্য এ কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহীদের জন্য দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে স্বাক্ষর সংগ্রহের সময় ফর্মের প্রথম পাতায় নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ক্রমিক নম্বর ও ভোটার নম্বরের কলাম ফাঁকা রাখতে হবে। দ্বিতীয় পাতায় একই ব্যক্তির নাম পুনরায় লিখে ভোটার আইডি নম্বর উল্লেখ করতে হবে। নির্ধারিত নিয়ম না মানলে ফর্ম বাতিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সংগ্রহ করা ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য ঢাকা–৯ আসনের দুটি স্থানে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। একটি বুথ খিলগাঁও তালতলা মার্কেটসংলগ্ন ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের বিপরীতে এবং অন্যটি বাসাবো বালুর মাঠ এলাকায়।
গত শনিবার সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগের পর ঢাকা–৯ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন তাসনিম জারা। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির নির্বাচনী সমঝোতার প্রেক্ষাপটে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।