জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই মঞ্চের সমাবেশ। ঢাকা, ১৯ এপ্রিল
জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জুলাই মঞ্চের সমাবেশ। ঢাকা, ১৯ এপ্রিল

সংস্কারের আগে নির্বাচন দিলে শহীদ পরিবার বিচার পাবে না, আশঙ্কা জুলাই মঞ্চের

জুলাই–আগস্ট গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে জুলাই মঞ্চ। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের আগে নির্বাচন দেওয়া হলে তা চব্বিশের শহীদদের প্রতি অবিচার হবে বলে মনে করছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার সামনে জুলাই মঞ্চের পঞ্চম শহীদি মার্চ থেকে এ দাবি জানানো হয়। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জুলাই মঞ্চের অন্যতম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে দুর্বৃত্তায়ন গড়ে উঠেছে, চব্বিশের বিপ্লব তার বিরুদ্ধে বড় একটা বার্তা। অথচ রাষ্ট্রের সেসব সমস্যা রেখে অতীতের মতোই একটা নির্বাচনের জন্য সবাই উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং প্রশাসনের হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার আগে কোনো নির্বাচন দেওয়া হলে তা হবে চব্বিশের শহীদদের প্রতি অবিচার।’

জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি সাকিব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রশাসনে গণহত্যায় জড়িত বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা চাকরিতে এখনো বহাল। অধিকাংশকেই এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গণহত্যার মামলাগুলোর কার্যক্রম এগোচ্ছে না। শহীদ পরিবারগুলো বিচার নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকার চলে গেলে তারা আর বিচার পাবে না।

সাকিব আরও বলেন, জুলাই মঞ্চ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে তাঁর নেতৃত্বেই জাতীয় সরকারে রূপ দেওয়ার কাজ করে যাবে। কেননা, জাতীয় সরকার ছাড়া বাংলাদেশের সরকারে গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপূর্ণভাবে প্রতিফলিত হবে না। গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য জুলাই অভ্যুত্থানের সব অংশীদারকে নিয়ে সমন্বিত জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে।

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় যাত্রাবাড়ীতে নিহত শহীদ শাকিলের মা হেলেনা বেগম বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস সরকার চলে গেলে আমরা আর বিচার পাব না। এই সরকার থাকতে থাকতেই আমরা আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাই।’

জুলাই মঞ্চ প্রতিনিধি তাসমিয়া রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শহীদ মেহেদী হাসানের মা পারভীন বেগম, আহতদের পরিবারের সদস্য হাসিব বিল্লাহ, মো. ইমরান, খোকন মিয়া, মো. আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।