
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) থেকে রেদোয়ান আহমেদ পদত্যাগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিতিতে রেদোয়ান আহমেদ বিএনপিতে যোগ দেন। রেদোয়ান আহমেদ এলডিপির মহাসচিব ছিলেন।
চান্দিনা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রেদোয়ান আহমেদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমরা যুগপৎ আন্দোলনে ছিলাম। বিএনপি তার শরিকদের আসন বণ্টনে ছাড় দেবে—এর সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু আমার দলের চেয়ারম্যান অলি আহমেদ বিএনপির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। এলডিপির স্থায়ী কমিটির সিংহভাগ সদস্য ও সারা দেশে এলডিপির নেতা-কর্মীরা আমার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।’
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমি আশা করি, অলি আহমেদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় একমত হবেন। তবে অলি সাহেবে নির্বাচনে আসুক আর না আসুক, আমি বিএনপির সমঝোতায় একমত হয়ে নির্বাচন করব। আমি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএনপিতে ছিলাম। সে জন্য আমি আজকে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিচ্ছি এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে আমার পদত্যাগপত্র চেয়ারম্যানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।’
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, এলডিপির অধিকাংশ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সারা দেশে এলডিপির নেতা-কর্মীরা বিএনপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনে কাজ করবেন।
ব্যবসায়ী রেদোয়ান আহমেদ ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন তিনি। ২০০১ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সরকারে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন। ২০০৬ সালে বিএনপি ছেড়ে যোগ দেন অলি আহমদের দলে। এখন নিজের পুরনো দলে ফিরলেন।
রেদোয়ান আহমেদকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাঁর এই যোগদান ঘরের ছেলের ঘরে ফিরে আসার মতো। তাঁর যোগদান বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে।
এই যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।