জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে

গণ অধিকার পরিষদের সংবাদ সম্মেলন

‘এনসিপির উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগ, সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরুর দাবি

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংলাপ শুরু করা এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে দলটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। এ সময় অন্যদের মধ্যে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বক্তব্য দেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গণ অধিকার পরিষদের অন্য তিন দাবি হলো অন্তর্বর্তী সরকার থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপদেষ্টা এবং সরকারের সব দপ্তর থেকে ছাত্র প্রতিনিধিদের পদত্যাগ; করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকা এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্র দখলের অবৈধ আইনে নিয়োগ দেওয়া প্রশাসকদের প্রত্যাহার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার ৯ মাস পার করলেও এখন পর্যন্ত দেশেকে স্থিতিশীল করতে পারেনি। দলটি বলেছে, সরকার এখনো কার্যকর সংস্কার কার্যক্রমও শুরু করতে পারেনি।

গণ অধিকার পরিষদ মনে করে, সরকার শপথ নেওয়ার পরপরই চারটি রোডম্যাপ দিতে পারত—দুর্নীতি, ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার; গণহত্যার বিচার; ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচন আয়োজন। কিন্তু সরকার লক্ষ্য, উদ্দেশ্যহীনভাবে চলছে।

নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব সৃষ্টি করেছে বলেও মনে করে গণ অধিকার পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে গঠিত নির্বাচন কমিশন নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছে উল্লেখ করে দলটি বলেছে, এ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানে নির্বাচনকে অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে নিয়ে যাওয়া। নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করতেই কেউ কেউ এমন দিবাস্বপ্ন দেখছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার তথ্যপ্রমাণ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তাঁকে অপসারণ করে গ্রেপ্তার না করা হলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।