শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করে যাওয়ার সময় শাহবাগে তারেক রহমানের গাড়ি ঘিরে উচ্ছ্বসিত নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের ভিড়। ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করে যাওয়ার সময় শাহবাগে তারেক রহমানের গাড়ি ঘিরে উচ্ছ্বসিত নেতা–কর্মী ও সমর্থকদের ভিড়। ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

সেই শিক্ষকের মুক্তি চেয়ে বিএনপির বিবৃতি

তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে গ্রেপ্তার শিক্ষক এ কে এম শহিদুল ইসলামের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি। নিজের মত প্রকাশের কারণে তাঁকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক হয়নি বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতি দেওয়া হয়। এর আগে একই দিন সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থেকে শহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

শহিদুল ইসলাম রাজধানীর গাবতলী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছিলেন, সকালে শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির কবর জিয়ারতের সময় তারেক রহমানকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বলে চিৎকার করছিলেন শহিদুল। তখন সেখানে উপস্থিত বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাঁকে আটক করে শাহবাগ থানা-পুলিশে হস্তান্তর করেন।

বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি মনে করে একটি গণতান্ত্রিক দেশে যেকোনো ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। বিএনপি গণতন্ত্র তথা মানুষের বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে। বিএনপি এটাও বিশ্বাস করে যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার, যা ব্যক্তিকে নির্ভয়ে নিজের চিন্তা, মতামত ও বিশ্বাস প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপি মনে করে, নিজের মত প্রকাশের কারণে এ কে এম শহীদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানো সঠিক হয়নি। তাই অবিলম্বে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান দেওয়ার অনুরোধ করছি।’