মক্কার পর পবিত্রতম শহর মদিনা
সাধারণত একে মদিনা-ই-মুনাওয়ারা বলা হয়। এই শহরে পানির কোনো অভাব নেই। মাউনা ও বোজায়া নামে দুটি বিখ্যাত কূপ রয়েছে। আগে মদিনায় আওজ, খায়রাজ, বনি নাজির, বনি ফুরাইয়া নামের গোত্রগুলো দ্বন্দ্ব-সংঘাতে লিপ্ত থাকত। ফলে মদিনায় কোনো দিন শান্তি বিরাজ করেনি। মহানবী (সা.)-এর আগমনের পর (৬২২) অবস্থার পুরোপুরি পরিবর্তন ঘটে।
Also Read: মুমিনের ভালোবাসা মদিনা মুনাওয়ারা
মহানবী (সা.) প্রথম মদিনাতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এবং এই মসজিদকে কেন্দ্র করে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের কাজ শুরু করেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে পারস্পরিক সহাবস্থানের নীতি ঘোষণা করে একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এক জাতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলে মদিনায় শান্তি স্থাপিত হয়।
চার খলিফার আমলে মদিনাই ছিল দারুল খিলাফত বা রাজধানী (৬৫৬ খ্রি. পর্যন্ত)। হাদিস শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবেও মদিনার সুখ্যাতি ছিল। বায়তুল্লাহ শরিফ জিয়ারত করার পর হাজিদের মদিনায় যেতে হয়।
মদিনার চার মাইল উত্তরে ওহুদ পাহাড়। সেখানে ওহুদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। পঞ্চম হিজরিতে মক্কার কুরাইশরা মদিনার ওপর আক্রমণ করলে মহানবী (সা.) প্রথম পরিখা খনন করেন। হজরত আলী (রা.) রাজনৈতিক কারণে ৬৫৭ খ্রিষ্টাব্দে রাজধানী স্থানান্তর করেন কুফায়।
সূত্র: ‘মদিনা’, যার যা ধর্ম, মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন, ২০১৪
Also Read: হজ ও মদিনা শরিফ জিয়ারত
আরও পড়ুন
-
তাঁরা বিদেশে বসে ‘বোতাম টেপেন’, আর ঘটনা ঘটে ঢাকায়
-
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি ছাত্র খুব জখম হয়েছে এমন খবর নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
-
‘আনারসে ভোট দিতে চান কেন্দ্রে আইসেন, না দিতে চাইলে ঘরে থাইকেন’
-
মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীকে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের
-
কিরগিজস্তানে হামলা: ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে নিল পাকিস্তান