Thank you for trying Sticky AMP!!

ইতিকাফ আল্লাহর ঘরে, আল্লাহর সঙ্গে

ইতিকাফ অর্থ ‘অবস্থান করা’, অর্থাৎ মানুষদের থেকে পৃথক হয়ে নামাজ, রোজা কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া, ইস্তিগফার ও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমে একাকী কিছু সময় যাপন করা। এই ইবাদতের মর্যাদা অনেক। ইসলামি পরিভাষায় ইতিকাফ হলো ইবাদতের উদ্দেশ্যে ইতিকাফের নিয়তে নিজেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবদ্ধ রাখা। যিনি ইতিকাফ করেন, তাঁকে ‘মুতাকিফ’ বলে।

Also Read: কোরআন কীভাবে পড়া উচিত

শবে কদরের প্রাপ্তি নিশ্চিত করে ইতিকাফ :

সব ইবাদতেরই কিছু না কিছু রহস্য থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জেনে রাখো, শরীরের ভেতরে একটি মাংসখণ্ড আছে, সেটি পরিশুদ্ধ হলে গোটা দেহই পরিশুদ্ধ হয়ে যায়। আর সেটি মন্দ হয়ে গেলে গোটা দেহই মন্দ হয়ে যায়। আর জেনে রাখো, সেটি হলো কলব। (বুখারি হাদিস)

বুখারির হাদিস থেকে আরও জানা যায়, হজরত উবাদা ইবনুস সামিত (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) আমাদের লাইলাতুল কদর সম্পর্কে অবগত করার উদ্দেশ্যে বের হন। পথে দুজন ঝগড়াঝাঁটিতে লিপ্ত হয়। তখন নবীজি (সা) বলেন, আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানানোর জন্য বের হয়েছিলাম; কিন্তু তখন অমুক অমুক বিবাদে লিপ্ত থাকায় তা (লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। হয়তো এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তোমরা তা অনুসন্ধান করো (রোজার) বেজোড় রাতে ।

Also Read: ইব্রাহিম (আ.) সারার ঘটনা

ইতিকাফ হলো আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকার উদ্দেশ্যে মসজিদে অবস্থান করা। রমজান মাসে প্রকৃত সাফল্য অর্জনের জন্য বিশেষভাবে যেসব ইবাদতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়, ইতিকাফ তার মধ্যে অন্যতম। ইতিকাফ মানুষকে ঝামেলা ত্যাগ করার শিক্ষা দেয় এবং অল্প সময়ের জন্য হলেও আল্লাহর সঙ্গে তার সম্পর্ক জুড়ে দেয়।

ইতিকাফ তিন প্রকার: ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব। ১. ইতিকাফ মানত করা হলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব। ২. রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ কিফায়াহ। ৩. ওয়াজিব ও সুন্নত ইতিকাফ ছাড়া অপর ইতিকাফকে মুস্তাহাব ও নফল ইতিকাফ বলা হয়।

Also Read: গুহা সম্পর্কিত সুরার শানে নজুল: ২

ইতিকাফে আল্লাহর প্রশংসা, ইবাদত ও দোয়া প্রার্থনায় নিজেকে মগ্ন রাখা যায়। ইতিকাফ আমাদের সবকিছু উপেক্ষা করে, অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে মহান মালিকের সংস্পর্শে একান্তভাবে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়। সারা বছর স্বাভাবিকতার মধ্যে মনিবের কথামতো চলার যে স্বাদ, ইতিকাফের মাধ্যমে মালিকের একান্ত সান্নিধ্যেও ভিন্ন ধরনের কিছু স্বাদ পাওয়া যায়। নিরবচ্ছিন্নভাবে শেষ দশ দিন আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকার কারণে শবে কদর লাভের সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়।