Thank you for trying Sticky AMP!!

হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা–জীবন

আজ থেকে ৭০ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মক্কা–জীবনের ওপর ইংরেজিতে লেখা যে বইটি বিভিন্ন মহলে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল, তার লেখক ছিলেন প্রখ্যাত স্কটিশ ইতিহাসবিদ উইলিয়াম মন্টোগোমারি ওয়াট। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামি অধ্যয়ন বিষয়ের এমেরিটাস প্রফেসর ওয়াট রচিত বইটির নাম ‘মুহাম্মদ অ্যাট মক্কা’। বইটি লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। গত সাত দশকে বইটি বহুবার পুনর্মুদ্রিত হয়েছে।

মহানবী (সা.)-এর জীবনের প্রথমে কেটেছে মক্কায়। তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত পান। মদিনায় হিজরত করেন। নবুয়তপ্রাপ্তি থেকে হিজরতের মধ্যবর্তী সময়টুকু তাঁর জন্য ছিল সীমাহীন যন্ত্রণা আর নির্যাতনের সময়কাল। মক্কাবাসীরা, বিশেষত সেখানকার প্রভাবশালী লোকেরা ইসলাম প্রচারে নানাভাবে বাধা তৈরি করেন। একপর্যায়ে তাঁকে হত্যা করতে উদ্যত হলে তিনি প্রতিবেশী নগরী ইয়াস্রিবে হিজরত করেন। কালক্রমে নগরীটির নাম হয় মদিনাতুন্ন নবী, সংক্ষেপে মদিনা।

Also Read: এক কাঠমিস্ত্রির ঘটনা রয়েছে সুরা ইয়াসিনে

ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক যুগ মক্কায় হওয়ায় এ সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। মন্টোগোমারি ওয়াট সেগুলোসহ মহানবী (সা.)-এর ৫২ বছর সময়কালের বিবরণ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন বইটিতে। ছয়টি মূল অধ্যায়ে তিনি আরব প্রেক্ষাপট, মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রথম জীবন ও নবুয়তপ্রাপ্তি; প্রাথমিক বার্তা; প্রথম মুসলমানরা; বিরোধীদের উত্থান ও ইসলামের সম্প্রসারণের ওপর আলোকপাত করেছেন।

বইটিতে মন্টোগোমারি ওয়াটের নির্মোহ বিশ্লেষণ দাঁড়িয়ে আছে নিবিড় গবেষণার ওপর। তাঁর অনুসৃত গবেষণার পদ্ধতি পরবর্তী সময় আরও অনেক লেখক-গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছে। ওয়াটের অন্যতম কৃতিত্ব এই যে ইসলাম ও মহানবী (সা.) সম্পর্কে পাশ্চাত্যের অনেক পণ্ডিতের উত্থাপন করা বিভিন্ন দ্বিধা-সন্দেহের জবাব দিয়েছেন তিনি বেশ জোরালোভাবে।

Also Read: একজন ব্যবসায়ী সাহাবির গল্প

মক্কায় মুহাম্মদ (সা.)-এর অর্জনের সারসংক্ষেপ করতে গিয়ে ওয়াট লিখেছেন, ‘মুহাম্মদের জীবনের সবচেয়ে বড় ও মহৎ অর্জন হলো একটি নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করা, সেটি কালক্রমে ইসলাম নামে পরিচিতি পায়। মোটাদাগে বললে, হিজরতের প্রাক্কালে ইসলাম মোটামুটি একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ ধারণ করে ফেলেছিল। কিন্তু এর প্রাতিষ্ঠানিক দিকগুলো ছিল অপরিণত বা প্রাথমিক পর্যায়ে।’

‘মুহাম্মদ অ্যাট মক্কা’: ডব্লিউ মন্টোগোমারি ওয়াট; অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, লন্ডন, ১৯৫৩।

Also Read: আয়াতুল কুরসি পড়ার অনেক উপকার