
কনফেডারেশনস কাপের দল থেকে বাদ পড়া মানেই একটা লাল সংকেত—বিশ্বকাপ দলে তুমি অনিশ্চিত! বিশ্বকাপের মহড়া টুর্নামেন্টটির ব্রাজিল দলে না থাকায় ফিকে হয়ে গেছে রোনালদিনহোর বিশ্বকাপ-স্বপ্নও। কিন্তু বিশ্বাস হারাচ্ছেন না দুবারের ফিফা বর্ষসেরা। বিশ্বকাপ দলে ফেরার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করছেন রোনালদিনহো। কেন তাঁকে কনফেডারেশনস কাপের ব্রাজিল দলে রাখা হয়নি, সেটা নিজেও জানেন না রোনালদিনহো। বিশ্বাস ছিল, স্কলারির দলে জায়গা পাবেন। না পাওয়াটা একটা বিস্ময় হয়েই এসেছে রোনালদিনহোর কাছে, ‘আমি দলে থাকতে চেয়েছিলাম। আশাবাদীও ছিলাম। কিন্তু আমি যেভাবে চেয়েছি তা হয়নি।’ এরপরই দিলেন দলে ফেরার লড়াইয়ের ঘোষণা, ‘কিন্তু এটা ভালো খেলতে এবং ভবিষ্যতে দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য আমাকে তাতিয়ে দিয়েছে। বিশ্বকাপের এখনো অনেক বাকি আর আমার লক্ষ্যে আমি অবিচল।’ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর রোনালদিনহোকে যাচাই করেছেন স্কলারি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলিতে পেনাল্টি মিস করেছেন তিনি। ২-১ গোলে ব্রাজিলের পরাজয়ের সে ম্যাচের পর খেলেছেন চিলির বিপক্ষেও। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ওই ম্যাচেও ছিলেন খোলসবন্দী। তবে তিনি আশাবাদী ছিলেন ক্লাবের পারফরম্যান্সই জায়গা করে দেবেন স্কলারির দলে। অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর হয়ে এ বছর ১২ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। করিয়েছেন আরও ৫টি। কোনো কোনো ম্যাচে তো তাঁকে দেখা গেছে দলের প্রাণভোমরা রূপেই। তার পরও তাঁর কনফেডারেশনস কাপের দলে জায়গা না হওয়ায় অন্য গল্পও শোনা যাচ্ছে। ব্রাজিলের পত্রপত্রিকার খবর, চিলির বিপক্ষে ম্যাচের আগে নাকি দলীয় সভায় এসেছিলেন দেরি করে। এ জন্যই নাকি তাঁর ওপর মনঃক্ষুণ্ন স্কলারি। এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন রোনালদিনহো। জানিয়েছেন, দলীয় এক নৈশভোজের আগে একত্র হওয়ার একটা ব্যাপার ছিল এবং সময়মতোই সেখানে গিয়েছিলেন। তবে একটা কথা স্বীকার করে নিলেন সাবেক বার্সা তারকা, চিলি ম্যাচে কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি, ‘ওই ম্যাচটায় আমি আশানুরূপ ভালো খেলতে পারিনি।’রোনালদিনহো নিজে লড়াই করবেন। অনেক সতীর্থেরও আশা তিনি লড়াইয়ে জিতবেন। যেমন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে রোনালদিনহো জায়গা ফিরে পাবেন বলে আশা করছেন তাঁর মিনেইরো সতীর্থ জো, ‘তার অভিজ্ঞতা বিশাল। ক্যারিয়ারে অনেক চড়াই-উতরাই দেখেছে। সুতরাং এখান থেকে তো সে ঘুরে দাঁড়াতে পারেই।’ ওয়েবসাইট।