দিনেশ কার্তিককে দেখে ভারতের একটু বয়স্ক ক্রিকেটাররা হয়তো আশা খুঁজে পেয়েছেন। আইপিএলের পারফরম্যান্স দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী কার্তিক যদি তিন বছর পর ভারত জাতীয় দলে ফিরতে পারেন, তাহলে অন্যরা কেন পারবেন না?
ঋদ্ধিমান সাহা কিন্তু এই আশায় বুক বাঁধছেন না। পশ্চিমবঙ্গের এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান মনে করেন, ভারতের নির্বাচকেরা তাঁর ওপর থেকে নজর সরিয়ে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে ভারত জাতীয় দলে ফেরার কোনো আশা দেখেন না ৩৭ বছর বয়সী ঋদ্ধিমান সাহা।
ঋদ্ধিমানকে এক সময় লাল বলে বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান হিসেবে দেখা হতো ভারতীয় ক্রিকেটে। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত ঋদ্ধিমান দেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত বছর ডিসেম্বরে। সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট। ঋদ্ধিমান সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন ২০১৪ সালে।
দিনেশ কার্তিক এবার জুনে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার আগে তিন বছর জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। কিন্তু বেঙ্গলের হয়ে রঞ্জিতে খেলা ঋদ্ধিমান তাঁর নিজের ক্ষেত্রে পরিস্থিতিটা ভিন্ন বলে মনে করেন। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় না থাকার কথা নির্বাচক এবং কোচই বলেছেন তাঁকে।
আইপিএলে এবার চ্যাম্পিয়ন হয় ঋদ্ধিমান সাহার দল গুজরাট টাইটানস। দলটির হয়ে ১১ ম্যাচে ১২২.৩৯ স্ট্রাইক রেট ও ৩১.৭০ গড়ে ৩১৭ রান করেন তিনি। তিনটি অর্ধশতকও আছে। দুটি স্টাম্পিং ও ক্যাচ নিয়েছেন ১১টি।
ঋদ্ধি মনে করেন, আইপিএলে এমন পারফরম্যান্সের পর তিনি ভারতের ইংল্যান্ড সফরগামী দলে থাকতেন যদি নির্বাচকেরা তাঁকে বিবেচনায় রাখতেন, ‘আমার মনে হয় না জাতীয় দলে আর কখনো সুযোগ পাব। কোচ ও প্রধান নির্বাচকই আমাকে এটা জানিয়েছেন। আমি তাঁদের ভাবনায় থাকলে আইপিএলে পারফরম্যান্সের পর ইংল্যান্ড সফরের দলে থাকতাম। এর অর্থ হলো তাঁরা ইতিমধ্যেই আমার বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছেন।’
Also Read: ক্রিকেটারকে হুমকি, দুই বছর নিষিদ্ধ সাংবাদিক
জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে তাই আর ভাবেন না ভারতের হয়ে ৪০ টেস্ট ও ৯ ওয়ানডে খেলা ঋদ্ধিমান। যতদিন ফিট আছেন ক্রিকেটটা খেলে যেতে চান, ‘আমার কাছে ক্রিকেট খেলাটাই বড়। যতদিন খেলে যেতে পারি, ততদিন খেলব।’
আইপিএলে এবার নিজের দ্বিতীয় সেরা মৌসুম কাটিয়েছেন ঋদ্ধিমান। ২০১৪ সালে পাঞ্জাবের হয়ে ৩৬২ রান করেছিলেন। সেবার রানার্স আপ হয় তাঁর দল। সেবার এবং এবারের মৌসুমের মধ্যে তুলনাটা নিজেই করলেন ঋদ্ধিমান, ‘এবার আমি পারফর্ম করেছি, দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে পাঞ্জাবের হয়ে ফাইনালে শতকের দেখা পেয়েছি। শিরোপা জয় বিচারে এটা হয়তো আমার সেরা মৌসুম কিন্তু রান বিচারে ২০১৪ সালে আমি বেশি রান করেছি এবং বেশি ম্যাচ খেলেছি।
Also Read: ঋদ্ধিমানকে দেওয়া কথা রাখতে পারলেন না সৌরভ
আরও পড়ুন
-
ধর্ষণের পর বিয়ে, এরপর নির্যাতন করে তালাকের হুমকি
-
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর নাবিকেরা
-
বাংলাদেশসহ ছয় দেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
-
বিদেশি তিনটি বড় শক্তি নির্বাচনের পক্ষে ছিল: জি এম কাদের
-
অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল, অভ্যুত্থানেই পুরো পরিবারসহ খুন হন আফগান প্রেসিডেন্ট দাউদ খান