Thank you for trying Sticky AMP!!

আকবরদের জন্য শুভ কামনা মিরাজ-সাইফের

ভারতের কাছে গত বছর দুটি ফাইনাল হেরেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যুব বিশ্বকাপে আরেকবার ফাইনালে ভারতকে পাচ্ছে বাংলাদেশ।


নক আউট ম্যাচ ‘ভারত’ যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে দুঃখেরই অন্য নাম! বাংলাদেশ জাতীয় দল যেমন বৈশ্বিক আসরের নক আউট ম্যাচে ভারত বাধা পার হতে পারছে না, অনূর্ধ্ব-১৯ দলও তাই। গত দুই বছরে তিনটি নক আউট ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ভারতীয় যুবাদের কাছে হেরেছে বাংলাদেশের যুবারা।
২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল ম্যাচ, মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতকে ১৭২ রানে আটকে বাংলাদেশ হারে মাত্র ২ রানে। গত বছর আগস্টে ইংল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও একই ফল। ২৬১ রান করে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হার।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বড় ধাক্কা খায় পরের মাসেই। গত সেপ্টেম্বরের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতকে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। এত সহজ লক্ষ্য পেয়েও সেই ম্যাচে ১৭ ওভার বাকি থাকতে মাত্র ১০১ রানে অল আউট আকবর আলীর দল! ৫ রানের হারে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।
কাল পচেফস্ট্রুমে যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল, প্রতিপক্ষ আবারও ভারত। তবে এবার আর হারের স্বাদ নয়, জয় নিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ফিরতে চায় বাংলাদেশের যুবারা। ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে দেওয়া দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের আশা, এবার ভারত জুজু কাটিয়ে বাংলাদেশ শিরোপা জিতবে।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিনি বলছিলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে অনেক টানটান উত্তেজনার ম্যাচ কাছে গিয়ে হেরেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য। তবে কালকের দিনটা আমাদের করতে হবে। অবশ্যই আমরা ভালো ক্রিকেট খেলব। ছেলেরা যেকরম খেলছে আশা করি ওরাও অনেক আত্মবিশ্বাসী। যেভাবে খেলেছে, একইরকম খেললে হয়তো আমরা ভারতকে হারাতে পারব।’
২০১৬ সালের যুব বিশ্বকাপ দলের আরেক সদস্য মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনও ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন। প্রতিপক্ষ নিয়ে না ভেবে নিজেদের দক্ষতায় মন দিলে জয় সম্ভব, বলছিলেন তিনি, ‘শ্রীলঙ্কায় গত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খুব কাছে গিয়েও আমরা হেরে গিয়েছিলাম। ম্যাচটি দেখে অনেক খারাপ লেগেছিল। বিশ্বকাপে যেহেতু একই প্রতিপক্ষ পেয়েছে, ভালো একটি সুযোগ আমাদের হাতে। প্রতিপক্ষ না ভেবে যদি ওরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে, তাহলেই জেতা সম্ভব।’