তিনি ছিলেন টেস্ট খেলা সবচেয়ে বেশি বয়সী জীবিত ক্রিকেটার। কিন্তু করোনাভাইরাস জন ওয়াটকিনসকে আর এই ‘সিংহাসন’ আগলে রাখতে দিল না।
সোমবার ডারবানে মারা গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই ক্রিকেটার। ১০ দিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ওয়াটকিনস। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানায়, কিছুদিন ধরে তাঁর শরীর ভালো যাচ্ছিল না।
৯৮ বছর ১৪৫ দিন বয়সে মারা গেলেন ওয়াটকিনস। বেঁচে থাকলে জীবনের ইনিংসে তাঁর সেঞ্চুরি করার সুযোগ ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর এখন বেঁচে থাকা সবচেয়ে বেশি বয়সী টেস্ট ক্রিকেটার দক্ষিণ আফ্রিকারই রন ড্রাপার। ১৯৫০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেন তিনি। ওয়াটকিনসের ক্যারিয়ার ১৫ টেস্টের।
১৯৪৯ সালে অভিষেকের পর ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে দেখা গেছে তাঁকে। বোলারদের ওপর চড়াও হতে ভালোবাসতেন তিনি। আউট সুইং করতে পারতেন নিখুঁত নিশানায়। স্লিপে ভালো ফিল্ডিং করতেন। ব্যাট হাতে তিনটি ফিফটির পাশাপাশি ২৯টি উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন ওয়াটকিনস। পরে বর্ণান্ধতার জন্য ট্রাফিক কন্ট্রোলে চলে আসেন। টেস্টে তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস ৯২ রানের।
১৯৫২–৫৩ মৌসুমে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটির দেখা পান ওয়াটকিনস। টেস্ট অভিষেকের পর ১৯৫১ থেকে ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ব্যবসায়িক কারণে তাঁকে ইংল্যান্ড সফরে পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা।