
>ভারতের অধিনায়ক ও তর্কযোগ্যভাবে বর্তমান বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির সঙ্গে নিজেদের বাবর আজমের তুলনা করার সুযোগ মোটেও ছাড়েন না পাকিস্তানের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট তারকারা। এবার এই তালিকায় উঠল রমিজ রাজার নামও
ভারত কখনই ক্রিকেটকে বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান উপহার দিতে কার্পণ্য করেনি। সুনীল গাভাস্কারের পর শচীন টেন্ডুলকারের হাত ধরে এখন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানের খেতাব ঝুলছে বিরাট কোহলির গলায়।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দলে কোহলির মতো অসাধারণ ব্যাটসম্যান দেখেই কি না, পাকিস্তানেরও আশা হয়, বর্তমান দলে যদি কোহলির সঙ্গে টক্কর দেওয়ার মতো কেউ থাকত! তাই বর্তমান সময়ে নিজেদের সবচেয়ে প্রতিভাবান পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান বাবর আজমের সঙ্গে সুযোগ পেলেই বিরাট কোহলির তুলনা করে বসেন তাঁরা। এবার সে কাজটা করলেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্য দিয়ে বেড়ানো রমিজ রাজা।
ধারাটা শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক কোচ মিকি আর্থার। চার বছর আগে আর্থার বলেছিলেন, ‘সে তরুণ এক প্রতিভা যে ভবিষ্যতে অসাধারণ এক খেলোয়াড় হবে। এই বয়সে সে কোহলির মতো ভালো বলার মতো ঝুঁকিটা আমি নিচ্ছি। আমি জানি, প্রশংসাটা অনেক বড়, কিন্তু এ-ও সত্যি, সে এটার যোগ্য।’
যদিও দুই বছর পর নিজের কথা থেকে একটু হলেও সরে এসেছিলেন আর্থার, ‘তিন ধরনের ফরম্যাটেই ও দ্রুতই বিশ্বের সেরা ৫ ব্যাটসম্যানের একজন হয়ে উঠবে। তবে আমার মনে হয়, দুই বছর আগে আমি যখন বলেছিলাম, ও প্রায় কোহলির মতোই ভালো, তখন হয়তো একটু আগাম ভবিষ্যদ্বাণী করে ফেলেছিলাম। সেই মানের ব্যাটিং দেখাতে সময় লেগেছে বাবরের। দুই বছর আগে যদি ওকে নেটে দেখার অভিজ্ঞতা আপনার থেকে থাকে, বুঝবেন, ও একটা কিশোর থেকে তরুণে পরিপক্ব হয়েছে, আরও শক্তিশালী, শারীরিকভাবে আরও জুতসই হয়ে উঠেছে, ওর খেলাও দিনে দিনে আরও ভালো হচ্ছে।’
গত বছর পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিও একই কথা বলেছিলেন। গত বিশ্বকাপে বাবর আজমের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়ে এই অলরাউন্ডার বলেছিলেন, শিগগিরই কোহলিকে ছুঁয়ে ফেলবেন বাবর, ‘এ সময় পাকিস্তান দলে একজন খেলোয়াড়ই শুধুমাত্র ধারাবাহিক, আর সে হচ্ছে বাবর আজম। আমি আশা করি একদিন বাবর আজম খুব বড় মাপের খেলোয়াড় হবেন, যেমনটা বিরাট কোহলি।’
একই আশাবাদ শোনা গেল এবার রমিজ রাজার কণ্ঠে, ‘আকাশ ছোঁয়ার সামর্থ্য আছে বাবর আজমের। তবে সেটার জন্য অবশ্যই ওকে এমন একটা পরিবেশ দিতে হবে, যা ওকে ভালো পারফর্ম করতে উদ্বুদ্ধ করে প্রতিনিয়ত। এটা না হলে ও ওর প্রতিভার সঠিক বিকাশ ঘটাতে পারবে না। ও যদি মন থেকে হেরে যাওয়ার ভয়টা দূর করতে পারে, তাহলে একদিন বিরাট কোহলিকেও হারিয়ে দিতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। মন থেকে হারের চিন্তা বাদ দিয়ে শুধু রান তোলা ও জেতার চিন্তা করতে পারলেই বহু বছর ধরে বিশ্বের সেরা একজন ব্যাটসম্যান হয়ে থাকতে পারবে।’