Thank you for trying Sticky AMP!!

পাতিদারের সঙ্গে কোহলি। বেঙ্গালুরুর দুই ব্যাটসম্যানই আজ অর্ধশতক করেছেন। তবে দুটি অর্ধশতক ছিল দুই মেজাজের। কোহলির অর্ধশতক ৪৫ বলে, পাতিদারেটা ২৯ বলে

কোহলির ছন্দে ফেরার চেষ্টার মূল্য দিতে হলো বেঙ্গালুরুকে

মোহাম্মদ শামির প্রথম ডেলিভারিটি ছিল লেংথ বল। সেটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললেন বিরাট কোহলি। ফুল লেংথের করা পরের বলটিতে পরাস্ত হলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ইনিংস ওপেন করতে নামা ভারতের ব্যাটসম্যান। তৃতীয় বলে দেখা মিলল আসল কোহলির। এবার শামির ফুলার লেংথের বলটিকে সীমানাছাড়া করলেন স্ট্রেট ড্রাইভে। পরের বলেও চার মারলেন, এবার স্কয়ার লেগ দিয়ে।

এ দুটি শট দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, ছন্দে ফিরতে মরিয়া কোহলি নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করেছেন! তবে নিজের আসল রূপে ফেরার জন্য আজ গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে কোহলি ছিলেন খুব সতর্ক। তাই তো শামিরই বলে আউট হওয়ার সময় কোহলির নামের পাশে ৫৩ বলে ৫৮ রান। স্ট্রাইক রেট ১০৯.৪৩। মেরেছেন ছয়টি চার ও একটি ছয়। বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএলে ৫০তম অর্ধশতক পেয়েছেন ঠিক, কিন্তু সেই অর্ধশতক তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির! সব মিলিয়ে বলা যায় কোহলি ছন্দে ফিরেছেন, কিন্তু নিজেকে পুরোপুরি ফিরে পাননি। আর কোহলির এই ছন্দ আর নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টার বলি হয়েছে তাঁর দল বেঙ্গালুরু।

ম্যাচ শেষে জয় উদ্‌যাপন রাহুল তেওয়াতিয়ার

২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করেছে বেঙ্গালুরু। নিজেকে ফিরে পেতে কোহলি এমন সতর্ক আর শ্লথ ইনিংস না খেললে স্কোরবোর্ডে বেঙ্গালুরুর রান আরও বেশি হতে পারত। তিনি এত বেশি বল না খেললে শেষের দিকে শাহবাজ আহমেদ ও মহীপাল লোমর আরও বেশি বল পেতেন। দলের রানটাও নিতে পারতেন বাড়িয়ে। কোহলি ছাড়াও বেঙ্গালুরুর হয়ে অর্ধশতক করেছেন রজত পাতিদার। পাঁচ চার ও দুই ছয়ে ৩২ বলে তিনি করেছেন ৫২ রান। এ ছাড়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩৩ রান করেছেন ১৮ বলে (৩ ছয় ও ২ ছক্কা)।

গুজরাটের ইনিংসের ১৮তম ওভারে ১৭ রান দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার জশ হ্যাজলউড

বেঙ্গালুরুর ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে গুজরাট। উদ্বোধনী জুটিতে ৫১ রান তুলে ফেলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। কিন্তু ৪৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে গুজরাট। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাই সুদর্শন যখন আউট হন, জয়ের জন্য ৪৩ বলে ৭৬ রান দরকার ছিল তাদের। আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে এই রান তুলে নেন রাহুল তেওয়াতিয়া ও ডেভিড মিলার। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাঁরা অবিচ্ছিন্ন ছিলেন ৪০ বলে ৭৯ রান তুলে। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তেওয়াতিয়া–মিলার। বেঙ্গালুরুর পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহবাজ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।