
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন আয়ারল্যান্ডের পেসার কার্টিস ক্যাম্ফার। এর মধ্যে চার বলে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ৭ উইকেটের জয়ে মূল নায়ক কার্টিস ক্যাম্ফার। আরও নিখুঁত করে বললে, ক্যাম্ফারের ওই চার বল।
ওপেনার ম্যাক্স ও’ডাউডের সঙ্গে মিলে চারে নামা কলিন অ্যাকারম্যান যখন ২৯ রানের ছোট্ট একটা জুটিতে ইনিংস গড়ার চেষ্টা করছিলেন, তখনই ডাচদের ওপর দিয়ে চার বলের ‘টর্নেডো’ বইয়ে দেন এই পেসার।
দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে অ্যাকারম্যানকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান ক্যাম্ফার। পরের বলে এলবিডব্লু রায়ান টেন ডেসকাট। পরের বলে আবার এলবিডব্লু, এবার শিকার স্কট এডওয়ার্ডস—হ্যাটট্রিক!
ক্যাম্ফার আয়ারল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক করা বোলার। এবার একটু দম নিন। চার বলের এই ঝড়ের শেষ পর্ব তখনো বাকি।
ক্যাম্ফারের পরের বলে রোয়েলফ ফন ডার মারউইক বোল্ড—চার বলে চার উইকেট! ডাবল হ্যাটট্রিকের এমন কীর্তি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখল এই প্রথমবার। বিশ্বকাপের বাইরে? টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেই এমন কীর্তি দেখা গেছে এ নিয়ে মাত্র তিনবার।
আগের দুজন—রশিদ খান (আয়ারল্যান্ডেরই বিপক্ষে, ২০১৯ সালে) ও লাসিথ মালিঙ্গা (২০১৯ সালেই, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে)।
নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক পিটার সিলার ম্যাচ শেষে বলছিলেন, ‘ভুতুড়ে ওই ওভারটাই পুরো ম্যাচ বদলে দিয়েছে।’ আসলেও তাই। ক্যাম্ফার–ঝড়ের পর নেদারল্যান্ডসের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৫১।
এরপর ডাচরা যে ১০৬ রান করতে পেরেছেন, সেটাই তো অনেক! আয়ারল্যান্ডের জয়েও ৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখেন ক্যাম্ফার। তাঁকে ম্যাচসেরা হিসেবে বেছে নিতে মোটেও অসুবিধা হয়নি নির্বাচকদের। ৪ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট নেন ক্যাম্ফার।