Thank you for trying Sticky AMP!!

ক্রিকেটাররা লুডু খেলছেন, বই পড়ছেন, সিনেমা দেখছেন

করোনা সংক্রমণ রোধে ঘরে ঢুকে গেছেন ক্রিকেটাররা।

করোনাভাইরাস যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, এর সংক্রমণ প্রতিরোধে যে কটি কার্যকর পদ্ধতি আছে, তার একটি হচ্ছে ঘরে থাকুন। খুব জরুরি প্রয়োজন না হলে বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে সবাইকে। সরকার সাধারণ ছুটিও ঘোষণা করেছে ঠিক এ কারণেই। অথচ নিয়মটা অনেকেই ঠিকঠাক মানছেন না। বরং ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন করোনা সংক্রমণের। অথচ ক্রিকেটারদের দেখুন, যেদিন থেকে তাঁদের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, সেদিন থেকেই বেশির ভাগ খেলোয়াড় নিজেকে গৃহবন্দী করে ফেলেছেন। মুশফিকুর রহিম যেমন ঘরেই ঠিক রাখছেন নিজের ফিটনেস। বাকি ক্রিকেটাররা কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন, জেনে নিন—

মুমিনুল হক
সময় ঘুমিয়ে কাটছে। কখনো কখনো সময় কাটছে বউয়ের সঙ্গে গল্প করি। মোবাইলে ইন্টারনেটে যাই। টিভি দেখি, খবর শুনি। কোনো কাজ নেই। আর ফিটনেস ঠিক রাখতে রুমে ফ্রি হ্যান্ডে যে ব্যায়াম আছে, সেগুলো করি। এভাবেই সময় কাটছে। এভাবে সময় কাটাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তবুও বাইরে বের হচ্ছি না।

সৌম্য সরকার
একেবারে ঘরে ঢুকে গেছি। আর বের হচ্ছি না। ধানমন্ডিতে বড় দাদার বাসায় আমার স্ত্রীকে নিয়ে উঠেছি। বাইরের কাউকে বাসায় আসতে দিচ্ছি না। টিভিতে খবর আর সিনেমা দেখছি। দাদা, বউদি আর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে লুডু খেলি, ক্যারম খেলি। সবাই নিয়ে এভাবে সময় কাটছে। তবে যেভাবে করোনাভাইরাসেরর সংক্রমণ বাড়ছে, আছি চরম আতঙ্কে। ক্রিকেটের কাজ বলতে মাঝেমধ্যে ফ্রি হ্যান্ডের ব্যায়ামগুলো করছি। এ ছাড়া তো কিছু করার নেই।

মোস্তাফিজুর রহমান
মাঝেমধ্যে আমাদের ফাঁকা ঘেরে যাই। আর বাসায় থাকি। ছাদে অনেক আগে থেকে কবুতর পালন করি। বাসায় থেকে এখন কবুতর দেখাশোনা করছি। ক্রিকেটের কাজের মধ্যেমাঝে একদিন শর্ট রানআপে বোলিং করেছিলাম। আর একদিন গ্রামের ফাঁকা রাস্তায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দৌড়েছি। তবে চারদিকে যেভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, বাইরে খুব কম বের হচ্ছি।

তাসকিন আহমেদ
ঘর থেকে তেমন বেরই হইনি। সারা দিন বাসাতেই থাকি। মাঝেমধ্যে বাসার সঙ্গে একটা জিম আছে, সেটিতে যাই ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচাতে যত কম বেরোনো যায়, ততই মঙ্গল।

এনামুল হক
কদিন ধরে একেবারে গৃহবন্দী হয়ে আছি। সময় কাটছে নামাজ পড়ে। সিনেমা দেখছি। প্রচুর বই পড়ছি। তিন ধরনের বই একসঙ্গে পড়ছি। একটি ধর্মীয় বই, একটা যোগাযোগের ওপর, আরেকটি মোটিভেশনাল টাইপের। বই পড়ার এত সময় ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পাওয়া যায় না। এখন সময়টা এভাবে কাজে লাগাচ্ছি।

মেহেদী হাসান মিরাজ
কদিন আগে আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকী ছিল। করোনার কারণে কোনো উদ্‌যাপন করিনি। কাউকে বাসায় নিমন্ত্রণ করার প্রশ্নই আসে না। বাসায় কোনোভাবে সময় কাটছে। ফিটনেসের কাজও সেভাবে করা হয়নি। একেবারে অবসর সময় কাটছে বলতে পারেন।