
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৪৯তম ওভারের ঘটনা। হাসান আলীর শেষ বলে দৌড়ে দুই রান নিলেন মিচেল স্টার্ক ও জেমস ফকনার। ব্যস, ‘সেঞ্চুরি’ হয়ে গেল পাকিস্তানি পেসারের। গুনে গুনে ঠিক ১০০ রান দিয়েই থামলেন আলী।
আলী তো ১০০ রান দিয়েই খালাস। ঝামেলা তো হলো স্কোরারের! মাঠের ম্যানুয়েল স্কোরকার্ডে বোলারদের রানের দেওয়ার জন্য আজ রাখাই হয়েছিল দুটি ঘর। কোনো বোলার যে এ মাঠে ওয়ানডেতে তিন অঙ্কের রান দিতে পারেন, সেটাই অচিন্তনীয় ছিল। কিন্তু পাকিস্তানে পেসার সে ‘কীর্তিই’ করলেন। তাঁর নামের পাশে ১০০ রান লেখার জন্য অভিনব কিছুই খুঁজে বের করতে হলো। নির্ধারিত দুই ঘরে দুটি শূন্য বসিয়ে, আলীর নামের পরে একটা সাদা টেপ লাগিয়ে লেখা হলো ‘1’! ব্যস, হয়ে গেল 100!
আলীর আগে এ মাঠে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান দেওয়ার রেকর্ডটি ছিল ৮০ রানের। ২০১০ সালে পাকিস্তানেরই উমর গুল দিয়েছিলেন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান দেওয়ার কীর্তি পাকিস্তানের আরেক পেসার রানা নাভেদের। কিন্তু আজ যে ‘আলীর দিন’! প্রথম ওভারেই দিয়েছেন ১৪, সেটা নবম ওভার শেষে থামল ১০০ রানে। ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দশম বোলার হিসেবে ১০০ রান দিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৩ রান দিয়ে ওয়ানডের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার মিক লুইসের।
ক্রিকেটের দশ খরুচে দশ
রান বোলার ওভার ম্যাচ সাল
১১৩ মিক লুইস ১০ অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০০৬
১১০ ওয়াহাব রিয়াজ ১০ পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ২০১৬
১০৬ ভুবনেশ্বর কুমার ১০ ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৫
১০৫ মার্টিন স্নেডেন ১২ নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড ১৯৮৩
১০৫ টিম সাউদি ১০ নিউজিল্যান্ড-ভারত ২০০৯
১০৫ ব্রায়ান ভিটোরি ৯ জিম্বাবুয়ে-নিউজিল্যান্ড ২০১২
১০৪ জ্যাসন হোল্ডার ১০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১৫
১০২ বিনয় কুমার ৯ ভারত-অস্ট্রেলিয়া ২০১৩
১০১ দওলত জাদরান ১০ আফগানিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ২০১৫
১০০ হাসান আলী ৯ পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ২০১৭