Thank you for trying Sticky AMP!!

তামিমদের কাছে পাওনা হয়ে গেল সেঞ্চুরি

দেশি ক্রিকেটারদের বড় অঙ্কের রান খরা টের পাচ্ছেন তামিম। ছবি: প্রথম আলো
>সেঞ্চুরি করাটা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব কঠিন কাজ। এটা যে বলে-কয়ে হয় না, সেটি জানেন তামিম ইকবাল। কিন্তু তামিম মনে করেন, তিনি নিজে বা বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যান যদি সেঞ্চুরি করতে পারেন, সেটি হবে বড় এক অর্জন। দর্শকেরা কিন্তু তাঁদের কাছে এমন কিছুই চায়

চট্টগ্রামে কাল কী ইনিংস দুটিই না খেললেন রংপুর রাইডার্সের দুই বিদেশি তারকা অ্যালেক্স হেলস ও রাইলি রুশো! টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে মাত্র তৃতীয় ঘটনা হিসেবে এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজেদের করে নিলেন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এই দুই বিদেশির উন্মাতাল ব্যাটিংয়ে একটি আক্ষেপ কিন্তু বেরিয়ে এসেছে—এমন কিছু যদি বাংলাদেশের তারকারা করতেন!

সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল কিংবা মাহমুদউল্লাহদের ব্যাট থেকে এমন কিছু বেরিয়ে এলে আনন্দটা হয়তো দ্বিগুণ হয়ে ধরা দিত দর্শকদের কাছে! সে হিসেবে অন্তত একজন দেশি ক্রিকেটারের কাছে সেঞ্চুরি কিন্তু দর্শকদের পাওনা হয়েই গেছে।

তামিম ইকবাল নিজেও ব্যাপারটি অনুভব করেন। আজ এ প্রসঙ্গ ধরেই বললেন এমন কিছুর প্রয়োজনীয়তার কথা, ‘আমি সেদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেছিলাম নিজেকে যদি পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে এই ইনিংসগুলি বড় করতে হবে। ম্যাচ শেষ করে আসতে হবে। যখন খেলা শেষ করবেন তখন দেখবেন সেঞ্চুরি হয়ে গেছে। তবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করাটা খুব কঠিন। এটা সহজে ধরা দেয় না। তবে এটা ঠিক আমি কিংবা বাংলাদেশের কেউ যদি সেঞ্চুরি করতে পারি, তবে সেটি অনেক বড় অর্জন হবে। দেশি ক্রিকেটারদের সেঞ্চুরির সুযোগ এবারও এসেছে। গতকাল ইয়াসির আলী যেভাবে ব্যাটিং করেছে তাঁর একটা সুযোগ ছিল। আমি সেদিন খুলনার সঙ্গে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, সুযোগ ছিল আমারও।’

চট্টগ্রামে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক সব সময়ই। এটা তামিমের চেয়ে ভালো জানে আর কে! নিজের হোম গ্রাউন্ডে একটা সেঞ্চুরি তো রূপকথার মতোই শোনাবে। তামিম অবশ্য এসব নিয়ে ভাবছেন না। ভেবে নিজের ওপর চাপ তৈরির ক্রিকেটারও তিনি নন, ‘সিলেটেরও উইকেট ভালো ছিল। পরে ঢাকার দুটি ম্যাচেও উইকেট ভালো ছিল। আমরা জানি চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট থাকে। আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এটি অবশ্যই ভালো। তবে আমি ওখানে গিয়ে যে রান করব এমন কোনো কথা নেই। আমার ইনিংস পরিকল্পনার ওপর বিষয়টি নির্ভর করে।’

নিউজিল্যান্ড সফরের আগে সৌম্য সরকার, মুমিনুল হকের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাররা ফর্মে নেই। লিটন দাসের নেই ধারাবাহিকতা। ব্যাপারটাতে তামিমও বেশ কিছুটা চিন্তিত। তিনি মনে করেন নিউজিল্যান্ড যাওয়ার আগে এই ব্যাটসম্যানরা যদি বড় ইনিংস খেলতে পারে, সেটি দলের জন্যই ভালো হবে, ‘সবাই যদি রানে ফিরতে পারে, তাহলে ভালো হবে। নিউজিল্যান্ডে ভিন্ন সংস্করণে, ভিন্ন উইকেটে খেলা হবে। যাওয়ার আগে ব্যাটসম্যানরা যদি এক-দুই ম্যাচ ভালো খেলে তাহলে খুব ভালো হয়।’