গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সর্বশেষ সাদা পোশাকে দেখা গেছে ২০১৭ সালে। চট্টগ্রামে সিরিজ বাঁচাতে নেমে প্রথম ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা ৩৮ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ১৫০ স্ট্রাইক রেটে ২৫ রান করে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর গত পাঁচ বছরে আর তাঁকে দেখা যায়নি। শ্রীলঙ্কা সফরে এই দীর্ঘ বিরতির অবসান ঘটতে পারে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জেতানো ৮০ রানের ইনিংস খেলেছেন ম্যাক্সওয়েল। এরপর আর চোখে পড়ার মতো কিছু করেননি। তবু আচমকা টেস্ট সিরিজে তাঁকে ডেকে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে সিরিজেই চোট পেয়েছেন ট্রাভিস হেড। তাঁকে টেস্টে পাওয়া যাবে কি না, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় ম্যাক্সওয়েলের সামনে সুযোগ এসেছে সাদা পোশাকে আবার নিজেকে প্রমাণ করার। তবে সে জন্য একটা নতুন ব্যাগি গ্রিন দরকার হবে তাঁর।
Also Read: ম্যাক্সওয়েল-ঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়
টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্যই বেশি বিখ্যাত ম্যাক্সওয়েল। তাঁকে এভাবে টেস্টে ডেকে নেওয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে আইপিএলে খেলার সুবাদে দক্ষিণ এশিয়ার কন্ডিশনে স্পিন খেলায় তাঁর দক্ষতা সবার জানা। ম্যাক্সওয়েল আশা করছেন, সুযোগ পেলে ওই অভিজ্ঞতা তাঁকে সাহায্য করবে।
Also Read: ম্যাক্সওয়েলের ‘বিয়ে’তে কোহলি-আনুশকা
২০১৩ সালে অভিষেক হয়েছিল ম্যাক্সওয়েলের। অস্ট্রেলিয়ানদের সাধারণত টেস্ট ক্যাপ-ব্যাগি গ্রিন নিয়ে অনেক আবেগ থাকে। একটি ক্যাপ নিয়েই ক্যারিয়ার শেষ করার চেষ্টা করেছেন অনেকেই। ৯ বছরে মাত্র ৭ টেস্ট খেলা ম্যাক্সওয়েলের ওভাবে ব্যাগি গ্রিনের যত্ন নেওয়া হয়নি। এ সফরে টেস্ট খেলতে হবে, সেটা জানতেন না। তাই এ সফরে ব্যাগি গ্রিন নিয়ে যাননি ৩৩ বছর বয়সী ম্যাক্সওয়েল।
Also Read: পাকিস্তানে না গিয়ে বিয়ে করবেন ম্যাক্সওয়েল
এতে অবশ্য বেশ খুশি অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার, ‘এটা নিয়ে আসিনি বলে আমি খুশি। কারণ, এটা প্রায় পুরাটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে এই টেস্ট সফরের জন্য নতুন একটা টুপি নিতে হবে। গত বছর বের করেছিলাম এবং দেখলাম, পুরো নষ্ট হয়ে গেছে এবং মনে হলো, এটা ভালো কোনো কিছুর ইঙ্গিত নয়। আমার স্ত্রী গতকাল সেটা বের করে বলল, “আমার মনে হয় না, এটা আমি নিয়ে আসতে পারব।”’
পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ সফরের আগে ভারত সফরেও দুটি ম্যাচে দেখা গিয়েছিল। রাঁচিতে একটি সেঞ্চুরিও পেয়েছেন। আর ক্যারিয়ারজুড়েই স্পিন খেলতে পারার ক্ষমতার জন্য পরিচিত ম্যাক্সওয়েল। তাঁর ধারণা, এমন কন্ডিশন বলেই দলকে বাড়তি কিছু দিতে পারবেন, ‘আমার ধারণা এমন কন্ডিশনে আমার অভিজ্ঞতা দলের কাজে আসবে। কঠিন কন্ডিশনে ভালো স্পিনও সামলাতে সাহায্য করতে পারব।’
Also Read: ম্যাক্সওয়েলের পিছে লেগেই আছেন শেবাগ
নিজের দক্ষতার পেছনে আইপিএলের অবদানের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘আমার ধারণা আইপিএলে নিয়মিত অনুশীলন করা...আইপিএলের বলয়ে থাকা আমাকে সাহায্য করেছে। এক শহর থেকে আরেক শহরে যাওয়ার ব্যাপার ছিল না, ফলে আরও বেশি অনুশীলনের সময় পেয়েছি। অনুশীলনের উইকেট অনেক বেশি ব্যবহৃত, ওখানে অনেক স্পিন হয়, উইকেটগুলো অনিয়মিত আচরণ করে এবং এটা দারুণ অনুশীলন ছিল। এই সিরিজে আসার আগে সেটা আমাকে সাহায্য করেছে।’
গলে আগামী বুধবার শুরু হচ্ছে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ।