নাফিসকে কেন খেতে দিচ্ছিলেন না রোহিতের স্ত্রী?

রোহিতের স্ত্রী ঋতিকার সঙ্গে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। ছবি: টুইটার
রোহিতের স্ত্রী ঋতিকার সঙ্গে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। ছবি: টুইটার

ঋতিকা সাজদেহ। নামটা পরিচিত না ঠেকলেও তাঁকে চেনেন ক্রিকেট দেখেন এমন সকলেই। ভারতের ম্যাচ হলেই গ্যালারিতে থাকেন। আর রোহিত শর্মা যেদিন খুনে মেজাজে থাকেন কিংবা কোনো মাইলফলকের কাছাকাছি চলে যান তখন তাঁর আবেগী মুখ বারবার ধরা পড়ে ক্যামেরায়। উইকেটে যতটা স্বচ্ছন্দে খেলেন রোহিত, গ্যালারিতে ততটাই দুশ্চিন্তা নিয়ে বসে থাকেন তাঁর স্ত্রী।

রোহিত শর্মার যত মাইলফলক আছে ক্রিকেটে, তার প্রায় অধিকাংশ ইনিংসের হাইলাইটসেই ঋতিকার মুখ থাকবে। কেঁদেকেটে একাকার হয়ে যাচ্ছেন ঋতিকা, দৃশটা তাই অনেকেরই পরিচিত। গতকাল শুক্রবার রাতে ফেসবুক আড্ডায় মেতেছিলেন রোহিত ও তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তারকাদের ডেকে আনার পর্বে কাল সবচেয়ে বেশি সাড়া ফেলেছেন তামিম। প্রায় ৮ লাখ মানুষ এই লাইভ দেখেছেন। ৪৭ হাজার কমেন্ট এসেছে। সাড়ে সাত হাজার ভক্ত সেটা শেয়ার করেছেন।

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই দেশের ওপেনার কথা বলেছেন। আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথের কথা। এসেছে বাংলাদেশের দর্শক প্রসঙ্গও। এর মাঝেই ক্রিকেটের অনুশীলনে বল থ্রোয়ারদের নিয়ে কথা বলতে বলতে উঠে এসেছিল নাফিস ইকবালের প্রসঙ্গও। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে নাফিস ইকবাল (মোস্তাফিজের কারণে) ছিলেন এক মৌসুম। তামিমের বড় ভাইয়ের নাম শুনেই রোহিত বলে উঠলেন, 'আমি তার কথা জিজ্ঞেস করতে যাচ্ছিলাম। উনি আমাদের সঙ্গে গত আইপিএলের আগেরবার ছিলেন। যখন মোস্তাফিজুর ছিল দলে। তাকে আমার শুভকামনা জানিও।'

এরপরই গল্পটা জানা গেল, 'আমি আমার স্ত্রীকে এই আড্ডার কথা বলেছিলাম, সে বলল নাফিস ভাইকে হাই বলতে। তুমি জান তাঁকে কেন মনে রেখেছে সে? কারণ এয়ারপোর্টে নাফিস ভাই তাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞেস কর। আমার স্ত্রীকে যেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই দেয়, তাকেই সে খুব পছন্দ করে। সে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ভালোবাসে।'

তামিম এরপরই জানিয়ে দিলেন মজার এক গল্প। ২০১৮ আইপিএলে নাকি নাফিস এক ম্যাচে ক্ষুধায় মরতে বসেছিলেন ঋতিকার জন্য, 'আমার ভাই ভাবির (রোহিতের স্ত্রী) সঙ্গে বসে খেলা দেখছিল। তারা পরিবারের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে বসেছিল। আমার ভাইয়ের ভয়ংকর ক্ষুধা পেয়েছিল, কিছু খেতে চাইছিল। সে চাইছিল কিছু খেয়ে আসতে কিন্তু ভাবী তাকে যেতেই দিচ্ছিল না। তিনি বলছিলেন, “না, এখানেই থাকবে হবে, খেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাওয়া যাবে না।” আমার ভাই তো ক্ষুধায় মরে যাচ্ছিল।'

এমন ঘটনার কথা শুনে হেসে ফেলেন রোহিত। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেন, ঋতিকার পাশে বসে খেলা দেখলে এটা আশা করাই স্বাভাবিক, 'হ্যা, সে খুব কুসংস্কারে বিশ্বাস করে। খেলায় কোনো কিছু ভালো চললে, কেউ যদি নির্দিষ্ট কোথাও বসে, তাদের নড়তে দেয় না সে। আমি নিশ্চিত ওই দুই মাসে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এক সঙ্গে ভ্রমণ করেছে, গ্যালারিতে বসেছে। খুব ভালো সম্পর্ক হয়েছে বলেই সে এভাবে বসে থাকতে বলেছে। কারণ, সম্পর্ক ভালো না হলে কাউকে এভাবে কিছু বললে কী মনে করবে তার তো ঠিক নেই।'