Thank you for trying Sticky AMP!!

লঙ্কাধোলাইয়ের শঙ্কায় তামিমরা

অভিষ্কা ফিফটি উদযাপন করছেন, হতাশ তামিম—পুরো ম্যাচের চিত্র তুলে ধরছে এ ছবি। ছবি: এএফপি
>কলম্বোয় আজ বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

তামিম ইকবাল ছটফট করছেন, হতাশ মুখে এদিকে-ওদিকে তাকাচ্ছেন। কখনো অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন শূন্যে। তিনি যেন দিক্ভ্রান্ত এক জাহাজের কাপ্তান, যিনি খুঁজে পাচ্ছেন না সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ।

পাবেন কী করে! কলম্বোর প্রেমাদাসায় সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে অন্য বাংলাদেশকে দেখা যায়নি। বরং তামিমের দলকে আরও ভঙুর মনে হয়েছে! সে ব্যাটিং কিংবা বোলিং—দুই বিভাগেই। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা ছন্দটা ভালোভাবে ধরে রেখেছে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে লঙ্কানদের তাই সিরিজ জিততে সমস্যা হয়নি। বাংলাদেশকে আজ তারা হারিয়েছে ৭ উইকেটে।

২৩৮ রান ‘ডিফেন্ড’ করতে যে বোলিংটা দরকার ছিল, সেটি করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনারকে ফেরাতেই ঘাম ছুটে গেছে বাংলাদেশের বোলারদের। তা ফেরানো গেলেও সর্বনাশ যা হওয়ার ততক্ষণে হয়ে গেছে। টপ অর্ডারদের দেখানো পথ ধরেই মিডল অর্ডার শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে গেছে জয়ের প্রান্তে।

দিমুথ করুনারত্নকে (১৫) বোল্ড করে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ততক্ষণে শ্রীলঙ্কা তুলে ফেলেছে ৭১ রান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কুশল পেরেরাকে নিয়ে আজ সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন অভিষ্কা ফার্নান্দো। সেটি অবশ্য পারেননি। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তামিম ইকবালের ক্যাচ হওয়ার আগে ফার্নান্দো করেছেন ৮২। কুশল-ফার্নান্দোর দ্বিতীয় উইকেট জুটি যোগ করে ৫৮ রান। তৃতীয় উইকেটে পেরেরা-মেন্ডিসের জুটি না জমলেও ম্যাথুস-মেন্ডিসের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটি ৯৬ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কাকে এনে দিয়েছে দুর্দান্ত এক জয়। ম্যাথুস অপরাজিত ৫২ রানে। আর মেন্ডিস উইকেটে ছিলেন ৪১ রানে।

বাংলাদেশ বড় কোনো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি শ্রীলঙ্কার সামনে, মোস্তাফিজ-তাইজুলরা আর কী লড়বেন! অবশ্য তামিমদের ২৩৮ রানই হয় না যদি মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে অপরাজিত ৯৮ রানের ইনিংসটা না আসত। লড়াকু ইনিংস খেলা বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান পরে কিপিং করতে নামেননি। ড্রেসিংরুমে বসেই হতাশ মুখে দেখেছেন দলের হার। এই হারে বাংলাদেশ সিরিজ তো খুইয়েছেই। এখন ধবলধোলাইয়ের (পড়ুন ‘লঙ্কাধোলাই’) শঙ্কা!