Thank you for trying Sticky AMP!!

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম চার ব্যাটসম্যানই পঞ্চাশের দেখা পেয়েছেন

১৪ বছর পর এমন কিছু দেখল অস্ট্রেলিয়া

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ড্র ছাড়া অন্য কোনো ফল পাওয়ার এখন একটাই উপায়, ‘ডিভাইন ইন্টারভেনশন’। মর্ত্যের ক্রিকেটারদের পক্ষে আর সম্ভব নয়, স্বর্গ থেকে যদি কেউ অঙ্গুলি হেলনে কিছু করতে পারেন! ম্যাচের তিন দিন আগ থেকেই অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিকদের চোখে, এটা উইকেট নয়, মহাসড়ক। তরতাজা সবুজ ঘাসের মাঝে এক টুকরো দ্বীপ হয়ে ছিল সাদা ২২ গজের উইকেট। এমন উইকেটে মাত্র একজন স্পিনার নিয়ে নামায় বিশ্লেষকদের সমালোচনাও ধেয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া দলের থিঙ্কট্যাংকের দিকে। কিন্তু যে উইকেটে চার দিনে মাত্র ১১ উইকেটের পতন হয়, সে উইকেটে এক স্পিনার নিলেই কি আর দুই স্পিনার নিলেই-বা কি!

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনেও পুরো ওভার খেলা হয়নি। আগের দিনের বৃষ্টির কারণে আজ প্রথম সেশনে একটি বলও করা যায়নি। তৃতীয় দিনে দুর্দান্ত ইতিবাচক খেলা অস্ট্রেলিয়ার রান তোলার গতি কমে গেছে আজ। দিনের ৬৪ ওভারে মাত্র ১৭৮ রান এসেছে। তাতে ৭ উইকেটে ৪৪৯ রানে দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। এখনো ২৭ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে কোনো দল জয়ের দেখা পাবে, এই সম্ভাবনা এখন প্রায় শূন্যের কাছাকাছি।

প্রথম সেশনে কোনো খেলা হয়নি

তৃতীয় দিনে হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন উসমান খাজা। পাকিস্তানের মাঠে নিজের প্রথম ইনিংসে শতকের কীর্তি থেকে ৩ রান দূরে থেমেছেন এই ওপেনার। আজ চতুর্থ দিনে সে হতাশা পেয়ে বসল টেস্টের ১ নম্বর ব্যাটসম্যান মারনাস লাবুশেন ও সাবেক ১ নম্বর স্টিভ স্মিথকে। গতকালের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান দুপুরের পর নামার সুযোগ পেয়েছেন। ৬৯ রানে থাকা লাবুশেন আর ২১ রান যোগ করেই ফিরেছেন। শাহিন আফ্রিদির বলে দারণ এক ক্যাচে আবদুল্লাহ শফিক পাকিস্তানকে দিনের প্রথম সাফল্য এনে দিয়েছেন।

দিনের প্রথম সাফল্য আফ্রিদির বলে

অ্যাশেজে দারুণ ফর্মে থাকা ট্রাভিস হেড অবশ্য মাত্র ৮ রান করেই বিদায় নিয়েছেন। তবে স্টিভ স্মিথ পঞ্চম উইকেটে ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে ৮১ রানের জুটিতে ম্যাচ নিয়ে সৃষ্ট হওয়া উত্তেজনা শেষ করে দিয়েছেন। চা–বিরতির পর শতকের সম্ভাবনা জাগিয়ে স্মিথও (৭৮) ফিরে গেছেন। তবে এর আগেই বহুদিন পর একটি কীর্তি করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৮ সালের দিল্লি টেস্টের পর এই প্রথম সফরে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম চার ব্যাটসম্যানই ৫০ ছাড়িয়েছেন।

নোমানই দিনের সেরা বোলার

শাহিন আফ্রিদি ও নাসিম শাহ গতি ও বাউন্স দিয়ে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নোমান আলীর নেতিবাচক বোলিংই পুরস্কার পেয়েছে। এই বাঁহাতি স্পিনার লেগ স্টাম্পের বাইরে টানা বল করে গেছেন। তাঁকে সুইপ করতে গিয়ে আউট হয়েছেন গ্রিন (৪৮)। একটু পর সুইপের চেষ্টাতেই বিদায় নিয়েছেন স্মিথ। পাকিস্তান এরপরও অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটাতে পারেনি। অ্যালেক্স ক্যারি ও মিচেল স্টার্ক মিলে ১১ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন। খেলা শেষ হওয়ার তিন ওভার আগে ক্যারির (১৯) বিদায়ের পর দিন পার করার দায়িত্ব নিয়েছেন স্টার্ক (১২*) ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (৪*)। ১০৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট পাওয়া নোমানই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল।