Thank you for trying Sticky AMP!!

'নীরব ঘাতক'কে সরব শুভেচ্ছা বিসিবির

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছবি: প্রথম আলো

‘সাইলেন্ট কিলার।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টুইটার ও ফেসবুক পেজে আজ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে মাহমুদউল্লাহর নানা বীরত্বপূর্ণ ইনিংসের ক্লিপ দেখানোর সঙ্গে কিছু কথাও লেখা হয়েছে। ‘বাকিরা তাকে বলে সেরা অলরাউন্ডার। আমরা বলি সাইলেন্ট কিলার’—এমন কথা বলা হয়েছে ভিডিওতে। আর এ ভিডিও দেখতে দেখতে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ডুবে যেতে পারেন নস্টালজিয়ায়। সেখান থেকে হয়তো চমকে যেতে পারেন ভিডিওটির শেষ কথায়—‘শুভ জন্মদিন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।’

হ্যাঁ, আজ মাহমুদউল্লাহর জন্মদিন। ৩৪ বছর বয়সে পা রাখলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ প্রতিনিধিদের একজন। বাকি চারজন—সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মতো অতটা জনপ্রিয় নন। মাঠে মাহমুদউল্লাহর চলাফেরা ও শরীরী ভাষা দেখলে মনে হবে তুমুল জনপ্রিয়তা না পাওয়া তার জন্য এক অর্থে ভালোই। নীরবে নিজের কাজটা তো করে যেতে পারছেন!

২০১৫ সাল থেকে অন্তত সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সাফল্যমণ্ডিত যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। এ যাত্রায় মাহমুদউল্লাহর অবদান ভোলার মতো নয়। বিশ্বকাপে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি,চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি, নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো ইনিংসটি—এ ছাড়াও ছোট-খাটো আরও কত সব ‘ক্যামিও’ ইনিংস! বাংলাদেশ ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহকে দেখলে রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে ইয়ান চ্যাপেলের সেই উক্তিটি মনে পড়বেই—‘দল বিপদে? রাহুল দ্রাবিড়কে ডাকো।’ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এ কথাটা মনে করার কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁড়ভক্ত মাত্রই জানেন।

১৯৮৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহে জন্ম নেওয়া এ ক্রিকেটারকে অনেকে ডাকেন ‘বিপদের বন্ধু।’ ২০০৭ সালে ওয়ানডে দিয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক ঘটে মাহমুদউল্লাহর। এ পর্যন্ত ৪৮ টেস্ট, ১৮৫ ওয়ানডে ও ৮৫ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। তিন সংস্করণ মিলিয়ে রান করেছেন ৮১৯৪। ৭ সেঞ্চুরি ৪১ ফিফটি। আর উইকেটসংখ্যা ১৫০। আহামরি কোনো সংগ্রহ না। কিন্তু এই মামুলি সংগ্রহের মাঝেও মাহমুদউল্লাহর এমন কিছু ইনিংস আছে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে অবিস্মরণীয়। মোস্তাফিজুর রহমান তাঁর এ সতীর্থকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে টুইট করেছেন, ‘শুভ জন্মদিন রিয়াদ ভাই। আপনি সত্যিই ভালো মানুষ। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে সুখী ও সমৃদ্ধ করুন।’

সতীর্থ ক্রিকেটারের কাছ থেকে ‘ভালো মানুষ’ তকমা পাওয়াই মাহমুদউল্লাহর জন্মদিনে সবচেয়ে বড় উপহার।