
তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার এখনো অনিশ্চয়তায় ঢাকা। বাংলাদেশের হয়ে আর খেলতে পারবেন কি না, বলার উপায় নেই।
সাকিব আল হাসানকে মাঠে দেখার সুযোগ পাওয়া যায় শুধু বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলা এই অলরাউন্ডারকে দেখা যাবে এ বছরের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল)।
আজ সিপিএলের এক্স পেজ থেকে জানানো হয়েছে, অ্যান্টিগা ও অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের হয়ে খেলবেন সাকিব।
এই টুর্নামেন্টে একটি বড় সুখস্মৃতিও আছে সাকিবের। ২০১৩ সালে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। সেটি সাকিবের ক্যারিয়ারের তো বটেই, সিপিএলেও এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং।
সিপিএলে এখন পর্যন্ত তিনটি দলের হয়ে পাঁচ মৌসুম খেলেছেন সাকিব। ২০১৩ ও ২০১৯ সালে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জ্যামাইকা তালাওয়াস এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলেছেন। দুই মৌসুম পর আবার সিপিএলে দেখা যাবে তাঁকে।
সিপিএলে সব মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচ খেলে দুটি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৪৪৮ রান করেছেন সাকিব। বল হাতে ওভারপ্রতি ৬.৮২ গড়ে রান দিয়ে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট।
সর্বশেষ পিএসএলে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব, উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি। দুই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে দুটিতেই ফিরেছেন শূন্য রানে।
তবে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারটা অভিজ্ঞতায় ঠাসা সাকিবের। বিশ্বের সব বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেছেন। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৪৪৭ ম্যাচ খেলে ৭৪৩৮ রানের সঙ্গে ৪৯৩ উইকেট নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
সিপিএলের ১৩তম আসর শুরু আগামী ১৪ আগস্ট। উদ্বোধনী ম্যাচেই খেলতে নামবে সাকিবের অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস, প্রতিপক্ষ সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস।