ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে জিতিয়ে যখন মেহেদী হাসান মিরাজ মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন ‘মিরাজ’, ‘মিরাজ’ ধ্বনিতে মুখর ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারি। আজ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংস শেষে যখন মিরাজ মাঠ ছাড়ছিলেন, তখনো মিরাজই মধ্যমণি। দুর্দান্ত এক শতরানে বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে তিনি জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
আজ তিনি যখন উইকেটে আসেন, তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ৬৯ রান। ঘণ্টাখানেকের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে মিরাজ বাংলাদেশকে পৌঁছে দিয়েছেন ৭ উইকেটে ২৭১ রানে। তুলে নিয়েছেন নিজের ওয়ানডে ও লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান। ৮৩ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ১০০ রানের ইনিংসটি আট বা এর নিচে নেমে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ইনিংস। ৭৭ রান করে মিরাজকে সঙ্গ দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
Also Read: মিরাজ যেভাবে ‘বিস্ময়বালক’ হলেন
বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুটা হয়েছে ব্যাটসম্যানের আসা যাওয়ার মধ্য দিয়ে। লিটন দাসের সঙ্গে উদ্বোধনে নামার সুযোগ পেয়ে এনামুল হক দুটি চার মেরে একটি সফল পাওয়ার প্লের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু মোহাম্মদ সিরাজের সামনে ইনিংস লম্বা হয়নি এনামুলের। ১১ রান করে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন তিনি।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন অবশ্য ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছিলেন বাউন্ডারি খুঁজে নিয়ে। কিন্তু ব্যাটিং পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে সিরাজের বলে বোল্ড হন। এরপর উমরান মালিক ও ওয়াশিংটন সুন্দরের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারেনি সাকিব-মুশফিকরা। চোখের পলকে চার উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পরিণত নয় ৬৯ রানে ৬ উইকেটের দলে।
Also Read: ‘মিরাজ কি সাকিবের মতো হতে পারে? সম্ভবত’
সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের লড়াই শুরু। সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৮ রান করে বাংলাদেশকে বিপদ মুক্ত তো করেছেনই। পৌঁছে দিয়েছেন লড়াই করার মতো অবস্থানে। ৯৬ বল খেলে ৭টি চারে ৭৭ রান করে মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হন, তখন বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ২১৭।
সেখান থেকে নাসুম আহমেদকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসটাকে আরও লম্বা করেন মিরাজ। অষ্টম উইকেট জুটিতে দুজন মিলে মাত্র ২৩ বলে যোগ করেন ৫৪ রান। নাসুম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ১৮ রানে। বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে যোগ করেছেন ১০২ রান, শেষ ৫ ওভারে ৬৮। যার সিংহভাগ কৃতিত্বটা মিরাজকেই দিতে হয়।
Also Read: মিরাজ—অবিশ্বাস্য, অবিশ্বাস্য, অবিশ্বাস্য!