ফিফটির পর লিটন দাস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
ফিফটির পর লিটন দাস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

এশিয়া কাপ

বাংলাদেশ–হংকং: ১৪ বল হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ, লিটনের ফিফটি, ছক্কার রেকর্ড

বাংলাদেশ–হংকং ম্যাচে স্বাগতম

এশিয়া কাপে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হলেও হংকংয়ে এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৯৪ রানে হেরেছে দলটি।

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

টসে জিতেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস।

আবুধাবি থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান জানালেন আবুধাবিতে তাপমাত্রা এখন ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের বোলাররা ম্যাচ উইকেটে পাশে হাত ঘুরাচ্ছেন। গ্যালারিতে এখনো দর্শক খুব একটা নেই। সন্ধ্যার পর কাজ শেষে মাঠে আসতে পারেন আরও কিছু প্রবাসী বাংলাদেশি।

কারা আছেন বাংলাদেশের একাদশে

লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান

হংকং একাদশ

জিশান আলী (উইকেটকিপার), অংশুমান রাঠ, বাবর হায়াত, নিজাকাত খান, ক্যালহান চাল্লু, কিঞ্চিত শাহ, ইয়াসিম মুর্তজা (অধিনায়ক), এজাজ খান, এহসান খান, আয়ুশ শুক্লা, আতিক ইকবাল।

১১ বছর আগের সেই ম্যাচ

টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও হংকং। ১১ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে এ সংস্করণে প্রথম দেখায় বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে জিতে যায় হংকং। চট্টগ্রামে পাওয়ারপ্লেতে ৫১ রান তুললেও বাংলাদেশ ১৬.৩ ওভারে অলআউট ১০৮ রানে। হংকংয়ের বাঁহাতি স্পিনার নাদিম আহমেদ নেন ৪ উইকেট। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ২ বল ও ২ উইকেট হাতে রেখে জিতে যায় হংকং। এই ম্যাচ হেরেও নেট রান রেটে নেপালকে পেছনে ফেলে সুপার টেন পর্বে ওঠে বাংলাদেশ।

প্রথম ওভারে ২ রান দিলেন মেহেদী

অফ স্পিনার মেহেদী হাসানকেই প্রথম ওভারটা করতে দিয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাস। ওভারটায় মাত্র ২ রান দিয়েছেন মেহেদী। তৃতীয় বলে ইমপ্যাক্ট আম্পায়ার্স কল না হলে জিশান আলীর উইকেটটিও পেয়ে যেতে পারত বাংলাদেশ।

প্রথম উইকেট এনে দিলেন তাসকিন

নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট পেয়েছেন তাসকিন

হংকং: ২ ওভারে ১৩/১

ওভার স্টেপিংয়ে নো বল দিয়ে শুরু করা তাসকিন আহমেদ উইকেট পেয়ে গেলেন বৈধ তৃতীয় বলেই। অংশুমান রাঠকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়েছেন বাংলাদেশের পেসার। উইকেটটি অবশ্য রিভিউ নিয়ে পেয়েছে বাংলাদেশ। বল রাঠের ব্যাট ছুঁয়ে লিটনের গ্লাভসে গেলেও দিক পরিবর্তন করেনি। তবে ব্যাট–বলের সংযোগের আওয়াজ শুনেই রিভিউ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারাল হংকং। উইকেট পেলেও ওভারটায় ১১ রান দিয়েছেন তাসকিন।

রাঠকে ফিরিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ৯৫তম উইকেট পেলেন তাসকিন।

তানজিমের প্রথম ওভারের ৩ রান

হংকং: ৩ ওভারে ১৬/১

তৃতীয় ওভারে তৃতীয় বোলারের হাতে বল তুলে দিয়েছেন লিটন দাস। নিজের প্রথম ওভারে ৩ রান খরচ করেছেন পেসার তানজিম। রাঠের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন বাবর হায়াত। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ২ হাজার রানের মাইলফলক পেরোনো হংকংয়ের দুই ব্যাটসম্যানের একজন বাবর। অন্যজন নিজাকাত খান।

দ্বিতীয় ওভারে ৮ রান দিলেন তাসকিন

হংকং: ৪ ওভারে ২৪/১

উইকেট পেলেও প্রথম ওভারে ১১ রান দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের পেসার নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিয়েছেন আরও ৮ রান।

দ্বিতীয় উইকেটটি তানজিমের

হংকং: ৫ ওভারে ৩১/১

পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে বাবর হায়াতের স্টাম্প উপড়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় উইকেট এনে দিয়েছেন তানজিম হাসান। দারুণ এক ডেলিভারিতে বাবর হায়াতকে বোল্ড করেছেন এই পেসার। ৩০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে হংকং। উইকেটে এসেছেন নিজাকাত খান।

পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৩৪ হংকং

নিজের প্রথম ওভারে ৩ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে পাওয়ার প্লে শেষে হংকংয়ের স্কোর ৩৪/২।

রিশাদও প্রথম ওভারে দিলেন ৩ রান

হংকং: ৭ ওভারে ৩৭/২

বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের মতো লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও নিজের প্রথম ওভারে দিয়েছেন ৩ রান।

রিশাদের ওভারে ১৩ রান

হংকং: ৯ ওভারে ৫৮/২

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ১৩ রান দিয়েছিলেন তাসকিন হাসান। নবম ওভারে রান খরচে তাসকিনকে ছাড়িয়ে গেলেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারে ওভারে এক ছক্কা ও এক চারে জিশান ১১ ও নিজাকাত ২ রান নিয়েছেন।

১০ ওভার শেষে হংকং ৬৪/২

ম্যাচ শুরুর আহে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা

ইনিংসের অর্ধেক পথ পেরিয়ে ২ উইকেটে ৬৪ রান তুলেছে হংকং। ৩০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৩৪ রানের জুটি গড়েছেন জিশান আলী ও নিজাকাত খান। ওপেনার জিশান ২৪ রানে ও নিজাকাত ১২ রানে ব্যাট করছিলেন।

দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে জিশানকে ফেরালেন মোস্তাফিজ

হংকং: ১২ ওভারে ৭৩/৩

তানজিম হাসানের করা দ্বাদশ ওভারের প্রথম দুই বলে রান নিতে ব্যর্থ জিশান আলী তৃতীয় বলে হাকিয়েছিলেন। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় উঠে যায় ক্যাচ। মিডউইকেট থেকে অনেকেটা পেছনে দৌড়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৩৪ বলে ৩০ রান করা জিশানের বিদায়ে ভাঙল ৪১ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। ৭১ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। জিশানের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা।

৪ ওভারে ২১ রানে ২ উইকেট তানজিমের

হংকং: ১৪ ওভারে ৮৯/৩

বোলিং কোটা শেষ হলো তানজিম হাসানের। ২ উইকেট নেওয়া বোলার ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২১ রান।

১০০ পেরিয়েছে হংকং

বাংলাদেশের উইকেট–উদদযাপন

হংকং: ১৬ ওভারে ১০৭/৩

মেহেদী হাসানকে ছক্কা মেরে হংকংকে ১০০ পাড় করিয়েছেন অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজা। ১৫ ওভার শেষে হংকংয়ের স্কোর ১০১/৩। মুর্তজা ১৩ বলে ২১ ও নিজাকাত ২৭ বলে ২১ রানে ব্যাট করছিলেন। ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থেকে বোলিং কোটা শেষ করেছেন অফ স্পিনার মেহেদী।

মুর্তজার রানআউটে ভাঙল ৪৬ রানের জুটি

হংকং: ১৮ ওভারে ১২৫/৪

৭১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর জুটি বেঁধেছিলেন নিজাকাত খান ও ইয়াসিম মুর্তজা। ৩৪ বলে ৪৬ রান যোগ করার পর রানআউট হয়েছেন মুর্তজা। ১৯ বলে ২৮ রান করেছেন হংকং অধিনায়ক। ১১৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারাল দলটি। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

নিজাকাতকে ফিরিয়ে রিশাদের প্রতিশোধ

হংকং: ১৯ ওভারে ১৩৪/৬

১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মারেন নিজাকাত খান। ওভারের পঞ্চম বলে প্রতিশোধ নিয়ে নেন রিশাদ। ৪০ বলে ৪২ রান করা নিজাকাত ফিরেছেন তানজিমকে ক্যাচ দিয়ে। হংকংয়ের সর্বোচ্চ স্কোরারকে ফেরানোর পরের বলেই কিঞ্চিত শাহকে এলবিডব্লু করে দিয়েছেন রিশাদ।

৪ বলে ৩ উইকেট বাংলাদেশের

১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে নিজাকাত খান ও কিঞ্চিত শাহকে রিশাত হোসেন ফেরোনার পর শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে এজাজ খানকে জাকের আলীর ক্যাচ বানিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ১৩৬ রানে সপ্তম উইকেট হারাল হংকং।

১৪৪ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

টানা ২ বলে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন

১০ ওভার শেষে হংকংয়ের স্কোর ছিল ৬৪/২। শেষ ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারালেও ৭৯ রান তুলে বাংলাদেশকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে হংকং। ৭ উইকেটে ১৪৩ রান করা হংকংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন নিজাকাত খান। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তজাকে নিয়ে ৩৪ বলে ৪৬ রান যোগ করেন নিজাকাত। বাংলাদেশের তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান ও রিশাদ হোসেন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

হংকং: ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (নিজাকাত ৪২, জিশান ৩০, মুর্তজা ২৮; তানজিম ২/২১, রিশাদ ২/৩১, তাসকিন ২/৩৮)।

প্রথম ওভারে ৯ রান বাংলাদেশের

বাংলাদেশ: ২ ওভারে ১৩/০

রান তাড়ার শুরুটা ভালোই হলো বাংলাদেশের। পেসার আয়ুশ শুক্লার করা প্রথম ওভারে ৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ৯ রানই তুলেছেন পারভেজ হোসেন। ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা চার মেরছেন এই ওপেনার।

দ্বিতীয় ওভারের প্রথম চার হংকংয়ের আরেক পেসার আতিক ইকবাল কোনো রান না দিলেও এরপর এক ওয়াইডসহ দিয়েছেন ৪ রান।

তানজিদের ছক্কার রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে বিদায় পারভেজের

বাংলাদেশ: ৪ ওভারে ৩২/১

২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে নিজের ২৩তম ছক্কাটি মারার ২ বল পরেই আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন পারভেজ হোসেন। ওই ছক্কায় এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের হয়ে এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডে তানজিদ হাসানের পাশে বসেন পারভেজ। ২৪ রানে প্রথম উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ। ১৪ বলে ১৯ রান করেছেন বাংলাদেশ ওপেনার। পারভেজকে ফিরিয়েছেন আয়ুশ শুক্লা।

পারভেজের বিদায়ের পর উইকেটে এসেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। চতুর্থ ওভারে বাংলাদেশ নিয়েছে ৮ রান।

পারভেজের পর তানজিদেরও বিদায়

দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে তানজিদ হাসানকে ফেরালেন নিজাকাত খান। পেসার আতিক ইকবালের বলে মিড অফ থেকে পেছনে দৌড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন নিজাকাত। ৪৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ১৮ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন তানজিদ। এরপর উইকেটে আসা তাওহিদ হৃদয় ওভারের শেষ বলে চার মেরেছেন। তাতে পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫১/২।

রানে মাহমুদউল্লাহকে ছাড়িয়ে গেলেন লিটন

সপ্তম ওভারে ইয়াসিম মুর্তজাকে দারুণ এক চার মেরে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেছেন লিটন দাস। ২৪৪৪ রান করা মাহমুদউল্লাহকে পেছনে ফেললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর ওপরে আছেন শুধু সাকিব আল হাসান (২৫৫১ রান)।

বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৬২/২

১০ ওভারে ৭০ রান দরকার লিটনদের

বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৭৪/২

ইনিংসের অর্ধেক পথ পেরিয়ে লক্ষ্যেরও অর্ধেক পথ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৭৪ রান তোলা লিটনদের শেষ ১০ ওভারে দরকার ৭০ রান। লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় দুজনই ব্যাট করছিলেন ১৪ রান নিয়ে।

বেঁচে গেলেন লিটন

বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৮৯/২

বল প্যাডে আগে লেগেছে, না গ্লাভসে বোঝা যায়নি টিভি রিপ্লেতেও। টিভি আম্পায়ার তাই আউট দিলেন না লিটন দাসকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক ‘জীবন’ পেলেন ব্যক্তিগত ১৮ রানে। বলটাকে প্যাডে আগে লাগলে আউট হয়ে যেতেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

১৩ ওভারে ১০০ ছুঁয়ে ফেলল বাংলাদেশ

বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ১০০/২

জয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্ব এখন ৪৪ রানের। এই রান করতে বাংলাদেশের হাতে আছে ৪২ বল। অধিনায়ক লিটন দাস ২৬ ও তাওহিদ হৃদয় ২৫ রানে ব্যাট করছিলেন। ৪৫ বলে ৫৩ রান এসেছেন দুজনের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে।

ফিফটির কাছে লিটন, জয়ের কাছে বাংলাদেশ

১৩ ওভারে ১০০ ছোঁয়া বাংলাদেশ পরের দুই ওভারে তুলেছে ২২ রান। তাতে জয় থেকে ২৩ রানের দূরত্বে বাংলাদেশ। লিটন অপরাজিত ৪২ রানে।

বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কা এখন লিটনের

১৬তম ওভারের প্রথম বলে ইয়াসিম মুর্তজাকে ছক্কা মেরে টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছেন লিটন দাস। পরের বলেই চার মেরে ফিফটি ছোঁয়া লিটনের এটি ছিল ৭৮তম ছক্কা। তাতে পেছনে পড়লেন মাহমুদউল্লাহ।

ছক্কার রেকর্ড গড়া লিটন ফিরলেন জয় থেকে ২ রান দূরে থেকে

দলকে জিতিয়ে ফিরতে পারলেন না লিটন দাস। বাংলাদেশ অধিনায়ক জয়ে থেকে ২ রান দূরে থাকতে বোল্ড হয়ে গেছেন। ৩৯ বলে ৫৯ রান করে ফিরেছেন লিটন।

১৪ বল হাতে রেখেই জিতল বাংলাদেশ

ফিফটির পর লিটন দাস। ম্যাচসেরাও হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

৭ উইকেটে জয়ে এশিয়া কাপ শুরু করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জিতেছে ১৪ বল হাতে রেখে। ১৮তম ওভারে চতুর্থ বলে ১ রান নিয়ে দলকে জিতিয়ে দেন তাওহিদ হৃদয়। লিটন দাসের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭০ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়া হৃদয় ৩৬ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। লিটনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা জাকের আলী ১ বলে কোনো রান করতে পারেননি।

১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৪৭ রানে হারিয়েছিল ২ উইকেট। এরপর হৃদয়কে নিয়ে ৯৫ রানের জুটি গড়ে জয় নিয়ে সব অনিশ্চয়তা দূর করেন অধিনায়ক লিটন। টি–টোয়েন্টি এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ খেলা লিটন ৩৯ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৯ রান করে আউট হয়েছেন। ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড উপহার দিয়েছে লিটন দাসকে। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে লিটনের ছক্কা এখন ৭৮টি। পেছনে পড়লেন ৭৭ ছক্কা মারা মাহমুদউল্লাহ।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ শনিবার। আবুধাবিতেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

হংকং: ২০ ওভারে ১৪৩/৭ (নিজাকাত ৪২, জিশান ৩০, মুর্তজা ২৮; তানজিম ২/২১, রিশাদ ২/৩১, তাসকিন ২/৩৮)।
বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ১৪৪/৩ (লিটন ৫৯, হৃদয় ৩৫*, পারভেজ ১৯, তানজিদ ১৪; আতিক ২/১৪)।
ফল: বাংলাদেশ ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: লিটন দাস।

ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস

প্রথম ম্যাচটা জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ কয়েকটা সিরিজে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে এশিয়া কাপে চাপটা একটু বেশি থাকে, এটা স্বাভাবিক (হাসি)। আজ আমরা ভালো খেলেছি। শেষ কয়েক বছরে আমাদের পেস বিভাগ খুব ভালো করেছে। আমরা একজন লেগ–স্পিনার খুঁজছিলাম আর রিশাদ গত দুই-তিন বছর ধরে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো করছে। উইকেট খুব একটা সহজ ছিল না, প্রতি বলে মারাটা কঠিন ছিল। গ্রাউন্ডটা বড়, তাই রান নিতে হলে এক-দুইয়ের ওপরই ভরসা করতে হয়েছে।