৭ ইনিংসে ২৫২ রান, একটি ফিফটি, একটি সেঞ্চুরি। তবে রান বা সেঞ্চুরির চেয়েও বড় বিষয় তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন। কাগজে–কলমে বয়স মাত্র ১৪। আর এই বয়সেই আইপিএল-মঞ্চে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন বৈভব সূর্যবংশী। গত ২৮ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসে খেলা এই কিশোর গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন, যা ছেলেদের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড।
ক্রিকেট–বিশ্বে আলোড়ন তোলা ওই সেঞ্চুরির পর সূর্যবংশী সবার মনোযোগ পাবেন, এটা জানা কথাই। এবার বিহারের এই ক্রিকেটার জানালেন, সে সময় পাঁচ শর বেশি ফোনকল পেয়েছিলেন তিনি। তবে ফোন ধরলে খেলায় মন দেবেন কখন? তাই ফোনই বন্ধ রেখেছেন কয়েক দিন।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের আইপিএলে শেষ ম্যাচ খেলেছে রাজস্থান। এই ম্যাচে ৩৩ বলে ৫৭ রান এসেছে সূর্যবংশীর ব্যাট থেকে। দলও জিতেছে ৬ উইকেটে। ম্যাচের পর সম্প্রচার ক্যামেরার সামনে সূর্যবংশীর একটি সাক্ষাৎকার নেন রাজস্থানের কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার সূর্যবংশীকে জিজ্ঞাসা করেন, ৩৫ বলে সেঞ্চুরির পর কত মানুষ তাঁকে ফোন ও টেক্সট করেছেন?
জবাবে সূর্যবংশী বলেন, ‘৫০০–এর বেশি মিসড কল পেয়েছি। আমি ফোন বন্ধ করে রেখেছিলাম।’ সেঞ্চুরিতে চারদিকে হইচই ফেলে দেওয়ার পর ক্রিকেট–বিশ্বের নজর ছিল সূর্যবংশীর দিকে। বিশেষ করে তাঁর অনুশীলন, তাঁর পরের ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স নিয়েও হয়েছে বিস্তর আলোচনা।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ দ্রাবিড়ের প্রশ্ন ছিল, সবার এত কৌতূহলের মধ্যে নিজের খেলায় মনোযোগ ধরে রাখা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? এ দফায়ও ফোনের কথা উঠে আসে সূর্যবংশীর উত্তরে, ‘সেঞ্চুরির পর অনেক মানুষ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। তবে এসব আমার অত ভালো লাগে না। আমি ২ থেকে ৪ দিনও ফোন বন্ধ রেখেছি। আশপাশে বেশি মানুষ আমার পছন্দ না। পরিবারের লোকজন আর কয়েকজন বন্ধু, এটুকুই যথেষ্ট।’
এবারই প্রথম আইপিএলে কোনো দলের সঙ্গে ছিলেন সূর্যবংশী। কী শিখেছেন জিজ্ঞাসা করলে তাঁর জবাব, ‘মনোযোগ ধরে রাখা। নিজের সহজাত খেলার চেয়ে দলের প্রয়োজন অনুসারে বেশি খেলা। খুব বেশি কিছু করার দরকার নেই, শুধু নিজের শক্তির ওপর ভরসা করা।’
এ বছরের মতো সূর্যবংশীর আইপিএল শেষ। সামনেই ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফর আছে তাঁর, যেখানে পাঁচটি ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলবে ভারত-ইংল্যান্ড।